সাত বছর আগে গুমের শিকার সুমনের প্রবাসী ভাইয়ের মামলা

ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
৭ বছর আগে গুম হওয়া ভিকটিম সুমনের (৩২)
প্রবাসী ভাইয়ের মামলা দায়ের,
পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের ৬ষ্ট আদালত।
প্রবাসী মাহাবুবুর রহমান (৫৫), পিতা- মরহুম ওয়হিদুর রহমান, পাইন বাগান, ২নং ওয়ার্ড, কাউখালী গুচ্ছগ্রাম, থানা- কাউখালী, জেলা- রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা বাদী হয়ে ১৪ আগষ্ট বৃহস্পতিবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ আদালতে ৭ বছর আগে চকবাজার থানাধীন বাকলিয়া ডিসি রোডস্থ আব্দুল মোনাফ বিল্ডিং থেকে তার ছোট ভাইকে অপহরণ ও গুমের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন । বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ৬ষ্ঠ এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদের আদালত শুনানী অন্তে অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পিবিআই চট্টগ্রাম মহানগরকে নির্দেশ দেন ।
বাদীর অভিযোগে প্রকাশ তার ছোট ভাই ভিকটিম তৌহিদুর রহমান সুমন (৩২) উক্ত আব্দুল মোনাফ বিল্ডিং (৬ষ্ঠ তলা) এর ছাদের ব্যাচেলর (এটাচ বাথরুমওয়ালা কক্ষ) থেকে গত ১৩/০৬/২০১৮ ইং সকাল আনুমানিক ৮ টায় অপহরণের পর গুম হন । বিএনপি কর্মী ভিকটিম সুমন (৩২) এবং আওয়ামী লীগ কর্মী আসামী মোঃ তারেকুর রহমান (৩২), উভয়ের বর্তমান বয়স (৪২) সহ অপর আসামীগণ হতে পাওনা টাকা দাবী করায় তাকে গুম করা হয় । ভিকটিমের বড় বোন স্কুল শিক্ষিকা মিসেস ফেরদৌসি রহমান (৫৯) স্থানীয় থানা ও সিএমপি কমিশনার কার্যালয়ে ধর্ণা দিয়েও অপহৃত ভাইকে উদ্ধারে কোন সহযোগিতা পায়নি । উল্টো তার ভাইকে জঙ্গী এবং নারী ঘটিত ঘটনায় সাথে সম্পৃক্ত বলে অপবাদ দেয় এবং ভিকটিমের উক্ত বোনকে গ্রেফতারের হুমকি দেয় । বড় বোন ফেরদৌসি বেগম ইতিপূর্বে আসামীদের সাথে ভিকটিম সুমনের বিরোধ আপোষে নিষ্পত্তি করে দিলেও পরদিন তাকে গুম করা হয় । বাদীর ভাই বোনরা এখনো জানে না তাদের ভাই জীবিত না মৃত ।মামলা দায়েরকালে ভিকটিমের বড় ভাই ব্রিটিশ নাগরিক মিজানুর রহমান (৫৮) সহ অপরাপর সাক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন ।মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউণ্ডেশন – বিএইচআরএফ – এর আইনি সহায়তায় বাদী পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলা বার এসোসিয়েশনের সভাপতি এডভোকেট আব্দুস ছাত্তার, মানবাধিকার আইনবিদ যথাক্রমে এডভোকেট এ এম জিয়া হাবীব আহ্সান, এডভোকেট সৈয়দ মোঃ হারুন, এডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ, এডভোকেট এএইচএম জসীম উদ্দিন, এডভোকেট মোঃ হাসান আলী, এডভোকেট মোহাম্মদ বদরুল হাসান, এডভোকেট মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন আরমান প্রমুখ ।