কালাইয়ে পূর্ব শত্রুতার জেরে পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে

জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার বফলগাড়ী গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বের জাল দিয়ে পুকুর থেকে সব মাছ ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন
মোঃ আকরাম হোসেন নামে এক ভুক্তভোগী।
গত (২২ আগস্ট) শুক্রবার তার পুকুর মাছ ধরে নিয়ে গেছে বলে ভুক্তভোগী মোঃ আকরাম হোসেন বলেন, আমার বাড়ি ভাটরা। বহুদিন আগে থেকে বফলগাড়ী বসবাস শুরু করি। এখানে আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাইছি, এরপরে আমি বফলগাড়ী গ্রামের বুলু, হেলাল, লাভলু, আশরাফদের যৌথ মালিকানাধীন একটা পুকুর পত্তন নিয়ে মাছ চাষ করা শুরু করি। এই অবস্থায় আমি এক বছর মাছ চাষ করে খাইছি। খাওয়ার পরে পুকুরে আবার মাছ ছেড়ে দিয়েছি এক বছর হয়ে গেল। পুকুরে আমার বহু টাকার মাছ ছিল। সেখানে গত শুক্রবার (২২ আগস্ট) পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বফলগাড়ী গ্রামের মৃত শবদের আলীর ছেলে মোঃ বাবলু মিয়া, মৃত আঃ জোব্বারের ছেলে মোঃ আঃ করিম, মোহাম্মদ আলীর ছেলে মোঃ আবু হাসান, মৃত আজিজার আকন্দের ছেলে মোঃ হেলাল উদ্দিন ও মৃত আফছের আলীর ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলামগণ বের জাল দিয়ে আমার পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে চলে যায়। আর এর আগে আমাকে হুমকি দেওয়া হয় যে, আমার বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের জিনিস রেখে আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরে দিবে। এটা শুনে আমি ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাই।
ভুক্তভোগী আরও বলেন, এর আগে পূর্ব শত্রুতা ও কলহ-বিবাদের জের ধরে বিভিন্ন সময় তারা পরস্পর যোগসাজসে নানাভাবে আমাকে হয়রানি, হেনস্থা করে আসছে এবং প্রায়শঃ আমার নিকট হতে অহেতুক টাকা-পয়সার দাবি করে, যাহাতে আমি রাজি না হওয়ায় বিভিন্নভাবে আমার ক্ষতিসাধনের পাঁয়তারা/অপচেষ্টা সহ আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুন সকাল অনুমান ১০ ঘটিকায় কালাই থানাধীন জিন্দারপুর ইউ.পির অন্তর্গত মহেশপুর বাজারস্থ আমার ভুসি-মালের দোকানে এসে নানা ধরণের ভীত্তিহীন কথা বার্তা বলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে ও তর্কে লিপ্ত হয়। বাগ-বিতন্ডতার একপর্যায়ে, তারা রাগান্বিত ও ক্ষীপ্ত হয়ে আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধামকি ও ভয়-ভীতি প্রদান করে ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার সময় যে কোন ভাবে আমার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কিংবা আমার চাষকৃত মাছের বড় ধরণের ক্ষতিসাধন করার হুমকি-ধামকি মূলক কথা বার্তা বলে। এরপর আমি কালাই থানায় একটি অভিযোগ করি। তাদের এরুপ কার্যকলাপে আমি মানসিকভাবে হয়রানি ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাবুল মিয়াগণের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে সন্ধান মেলেনি।
এ বিষয়ে কালাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহিদ হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।