তালার ইসলামকাটির মধুর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিএনপির ত্যাগী নেতাকর্মীরা
সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৫
0
Comments
127 Views
মোঃ খলিলুর রহমান সাতক্ষীরা ::
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার ইসলামকাটি ইউনিয়নের সাবেক যুবদল সাধারণ সম্পাদক মহিদুজ্জামান মধুকে ঘিরে সম্প্রতি নানা ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের দাবি, বিগত ১৫ বছর ধরে যারা দলীয় আদর্শকে উপেক্ষা করে সুবিধাবাদী আচরণে লিপ্ত ছিলেন, তারাই আজ ত্যাগী ও নির্যাতিত নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে দলকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, তালা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নেই সাবেক এমপি ও আগামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক ভিত্তি গড়ে উঠেছে। বিশেষ করে ইসলামকাটি ইউনিয়নে যারা স্বৈরাচারী সরকারের দমন-পীড়নের মধ্যেও অর্থ ও জনবল দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন, তাদের বিরুদ্ধেই এখন কুৎসা রটানো হচ্ছে।
২০১৯ সালের ২৬ জানুয়ারি ইসলামকাটি ইউনিয়ন যুবদলের তৎকালীন সভাপতি আনিসুজ্জামান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শারীরিক ও পারিবারিক চাপের কারণ দেখিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন। অথচ বর্তমানে তিনিই সুবিধাভোগী হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হায়দার আলী, ৪নং ওয়ার্ড সম্পাদক প্রকাশ কুমার মিঠু এবং কৃষক দলের নেতা আলী হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে একটি ছবি ব্যবহার করে ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করেন।
সংবাদটির মূল উদ্দেশ্য ছিল ইউনিয়ন বিএনপির সার্চ কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত মহিদুজ্জামান মধুর বিরুদ্ধে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়ানো। অথচ জানা গেছে, ইসলামকাটি সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে মধু, তার ভাই মনিরুজ্জামান এবং মরহুম মশিউজ্জামান দলিল লেখক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১৫ আগস্টের শোক দিবসে সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী র্যালি ও গণভোজে অংশগ্রহণের একটি ছবি ব্যবহার করে সংবাদটি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়।
এ বিষয়ে তালা-কলারোয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব মরহুম মশিউজ্জামানের জানাজায় উপস্থিত হয়ে বলেন, “মধু বিএনপির জন্য নিবেদিত প্রাণ। ২০১৩ সালে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা তাকে জনসম্মুখে নৃশংসভাবে হাতুড়িপেটা করে হত্যার চেষ্টা চালায়। তার ভাই শেখ মনিরুজ্জামান দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, আর মশিউজ্জামান ছিলেন নিঃস্বার্থ কর্মী।”
তিনি আরও বলেন, “এই পরিবারটি যে ত্যাগ স্বীকার করেছে, তা বিএনপির ইতিহাসে অম্লান। তাদের পাশে থাকা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।”
এদিকে ইসলামকাটি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির মৃত্যুতে পদটি শূন্য হয়ে পড়েছে। সেই প্রেক্ষিতে সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী সুলতান আহম্মেদ উক্ত বিভ্রান্তিকর সংবাদের প্রতিবাদে পত্রিকায় লিখিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছেন।
তালা উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন, “মধু দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। যদি শোক দিবস পালন অপরাধ হয়, তবে আমাকেও দলের পদ থেকে বাদ দিতে হয়।