সদরপুরে ছেলেকে জবাই করে মায়ের আত্বহত্যা

শিমুল তালুকদার, সদরপুর থেকে
ফরিদপুরের সদরপুরে ৫ বছরের শিশু পুত্র হোজাইফা মুন্সী কে ধারালো ছুড়ি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছেন সন্তান সম্ভবা মা সুমাইয়া আক্তার (২২)
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের পুর্ব কান্দি গ্রামের স্বপ্ন বিলাস নামক বিলাস বহুল বাড়িতে। এ ব্যাপারে পুরো এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে৷
নিহত হোজাইফা পূর্ব কান্দি গ্রামের রমজান মুন্সীর পুত্র।
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, ১৯ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) ঘটনার দিন দুপুরে হোজাইফার মা বাবা সহ পরিবারের সকলে পার্শবর্তী বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে এসে বাবা মায়ের সাথে বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন।
রমজান মুন্সীর ফুফু মর্জিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যার কিছুক্ষণ পরে রমজান মুন্সীর ছোট ভাই সোহাগ মুন্সীর স্ত্রী ফারহানা আক্তার (২০) হতভম্ব হয়ে দৌড়ে এসে জানান, পাশের ঘরে সুমাইয়া আক্তার গলায় রশি দিয়ে ঝুলছে। তখন সুমাইয়ার স্বামী সহ আমরা সবাই সুমাইয়াকে ফাঁস থেকে নামিয়ে দ্রত্ব ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন আমি (মর্জিনা বেগম) শিশু পুত্র হোজাইফার ঘরে গিয়ে দেখি খাটের উপর জবাই করা হোজাইফার রক্তাক্ত লাশ পরে আছে।
অপরদিকে, সুমাইয়া কে তার স্বামী রমজান মুন্সী ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সুমাইয়া বেগম ১০ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সুমাইয়ার ডেলিভারি হওয়ার কথা ছিল বলে জানান মর্জিনা বেগম।
নিহত সুমাইয়া আক্তার ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের হাইচ্যা গ্রামের রমজান শেখের কন্যা। গত ৭/৮ বছর আগে পারিবারিক ভাবে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
সংবাদ পেয়ে সদরপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হত্যায় ব্যাবহৃত ছুরিসহ বিভিন্ন আলামত জব্দ করেছেন।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা সদরপুর থানার সাব ইন্সপেক্টর আলমগীর শরীফ বলেন, শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরে জানা যাবে কিভাবে হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। তবে কি কারনে এই নৃশংস হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে সেটা তদন্ত না করে বলা সম্ভব নয় বলে জানান তিনি।