চট্টগ্রাম একাডেমির “লোকমান খান শেরওয়ানী” পুরস্কার পেয়েছেন বরেণ্য সাংবাদিক কাজী মনসুর

ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি
এক আলোকিত জীবন
চট্টগ্রামের সাংবাদিকতা জগতে কাজী আবুল মনসুর এক কিংবদন্তী নাম। তিনি শুধু একজন সাংবাদিক নন, তিনি একজন বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্ব। তাঁর সাংবাদিকতা জীবন সত্য ও সাহসের এক জ্বলন্ত প্রতিচ্ছবি। সম্প্রতি চট্টগ্রাম একাডেমির পক্ষ থেকে প্রবর্তিত ‘লোকমান খান শেরওয়ানী সাংবাদিকতা পুরস্কার ২০২৪’ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা তাঁর এই মহান কীর্তিগাথা তুলে ধরেন। তাঁরা মনে করেন, বরেণ্য জৈষ্ঠ্য সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর এমন একজন সাংবাদিক ছিলেন যিনি প্রতিনিয়ত সত্যের সন্ধানে ছুটে চলেছেন এবং তাঁর অমিত সাহস দিয়ে সমাজের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরেছেন এবং তিনি দীর্ঘ ২৯ বছরের সংবাদের কথা জীবনে দেশের বড় বড় অনেক পত্রিকাতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন সহ বর্তমানে প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার ডেপুটি সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
সাংবাদিকতার মূল চেতনা
সাংবাদিকতার মূল ভিত্তি হলো সত্যকে আবিষ্কার করা। এই কঠিন পথে চলতে গিয়ে একজন সাংবাদিককে নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়। কিন্তু সত্য ও সাহসী সাংবাদিকেরাই শেষ পর্যন্ত সফল হন।
ড. আনোয়ারা আলম বলেন, সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর একজন সৎ, সাহসি ও নির্লোভ সাংবাদিক। বিগত ২৭ বছর ধরে তিনি অনেকটা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সমাজে তাঁর মতো সাংবাদিক পাওয়া কঠিন। আজকে সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুরের হাতে লোকমান খান শেরওয়ানি পুরস্কার তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত। তিনি কখনো পুরস্কার প্রাপ্তির আশায় সাংবাদিকতা করেন নি। সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুরকে পুরস্কার দিতে পেরে চট্টগ্রাম একাডেমিও গৌরব বোধ করছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম একাডেমি মিলনায়তনে লোকমান খান শেরওয়ানি সাংবাদিকতা পুরস্কার প্রদানকালে তিনি এসব কথা বলেন। একাডেমির মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন কবি, সাংবাদিক রাশেদ রউফ। বক্তব্য রাখেন শিক্ষাবিদ অধ্যক্ষ রীতা দত্ত, ড. মোহিত উল আলম, কবি নেছার আহমেদ, কবি অরুন শীল, চৌধুরী রওশন ইসলাম প্রমূখ।
লোকমান খান শেরওয়ানী পুরস্কার প্রাপ্তিতে নিজের অনূভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে সাংবাদিক কাজী আবুল মনসুর বলেন, এ পুরস্কার আমার সাংবাদিকতা জীবনের অন্যতম অর্জন। কখনও পুরস্কারের কথা চিন্তা করে সাংবাদিকতা করিনি। সততার সাথে দেশ ও জাতির কথা চিন্তা করে সাংবাদিকতা চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার এ পুরস্কারের পেছনে পরিবারের ত্যাগ ভুলবার নয়। অনেক ঝুঁকি নিয়ে অনেক কিছু লিখতে হয়েছে। বাংলাদেশের মতো দেশে সতভাবে সাংবাদিকতা করা অনেক কঠিন। কাজী আবুল মনসুর চট্টগ্রাম একাডেমির প্রশংসা করে বলেন, একাডেমির এ পুরস্কার প্রবর্তন করায় চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের মাঝে উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে। তিনি চট্টগ্রাম একাডেমির সকল পরিচালককে ধন্যবাদ জানান।
পরে অতিথিবৃন্দ সম্মিলিতভাবে কাজী আবুল মনসুরের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট, নগদ সম্মানি ও সার্টিফিকেট তুলে দেন।