সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু পরিবারের দোকানঘর দখল করে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
মো,জায়েদ হোসেন, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
পটুয়াখালীর দশমিনায় এক হিন্দু পরিবারের দোকানঘর দখল করে আড়াই লাখ টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার বেলা দেড়টার দিকে দশমিনা প্রেসক্লাবের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মন্দিরা রাণী শীল। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আগস্টের পর থেকেই দশমিনা সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামের হানিফ সিকদারের ছেলে কামরুজ্জামান টিপু (৪০) দলীয় প্রভাব বিস্তার করে তাদের জমি ও দোকানঘর দখলের পায়তারা চালিয়ে আসছেন।
এসময় মন্দিরা রাণী শীল বলেন, সম্প্রতি টিপু ও তার ৫-৬ জন সহযোগী আরজবেগী বাজারে আমাদের জমি তাদের নিজেদের দাবী করে ওই জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য তাদের হুমকি ধামকি প্রদান করেন। শালিস বৈঠকের নাম করে আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে সালিশী অচলনামা তৈরির উদ্দেশ্যে অলিখিত সাদা কাগজে জোরপূর্বক আমার মা সবিতা রাণী শীলের স্বাক্ষর নেয়। তারপর মনগড়া সালিশী করে আমার মা সবিতা রাণীকে ২৮ হাজার টাকা নিতে বলে। আমার মা সবিতা রাণী ওই টাকা নিতে না চাইলে তাকে জোরপূর্বক ২৮ হাজার টাকা গ্রহণে বাধ্য করে এবং অলিখিত সাদা কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে মনগড়া ভিত্তিহীন দোকানঘর বিক্রির চুক্তিপত্র প্রস্তুত করে দোকানঘরের দুটি কক্ষ দখল করে তাতে তালা লাগিয়ে দেয় টিপু।
তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাসে আমি টিপুকে দোকানঘরের তালা খুলে দিতে অনুরোধ করলে তিনি আমাদের বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি দেখাইয়া আমাদের কাছে চাঁদা বাবদ নগদ আড়াই লাখ টাকা দাবী করে। আড়াই লাখ টাকা না দিলে তিনি দোকানঘরের দখল ছাড়বেন না বলে জানিয়ে দেন। আমরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কামরুজ্জামান টিপু মুঠোফোনে সাংবাদিকদের বলেন, আমার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।
দশমিনা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শামিম খান বলেন, কামরুজ্জামান টিপু দলীয় কোন পদে নেই। তবে এ ধরনের ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে দলীয় ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা যুবদলের আহবায়ক অ্যাডভোকেট এনামুল হক রতন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি সত্যি হলে ওই হিন্দু পরিবারটিকে আইনি সহায়তা দেয়া হবে।
দশমিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ওই হিন্দু পরিবারের পক্ষ থেকে জমি সংক্রান্তে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। স্থানীয়ভাবে আপোষ মীমাংসার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


