চৌগাছা থানার ওসিকে নিয়েও চলছে চক্রান্ত – মাদক সম্রাটদের রক্ষায় একটি মহল সক্রিয়

স্টাফ রিপোর্টার
যশোরের চৌগাছা থানার নবগত অফিসার ইনচার্জ পায়েল হোসেনকে নিয়ে গত মঙ্গলবার কিছু গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশে হতবাক উপজেলার সচেতন মহল। যে ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে, সেই ব্যক্তি চৌগাছার একজন চিহৃত মাদক সম্রাজ্ঞী। শুধু তাই না ওই নারীর ছেলে পুলিশ যাকে আটক করেছেন সে একজন আন্তঃজেলা চোরচক্রের অন্যতম হোতা বলে একাধিক সূত্র থেকে জানা গেছে।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ পায়েল হোসেন গত নভেম্বর মাসের ১৭ তারিখে ওসি হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পরপরই তিনি স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং সীমান্তবর্তী উপজেলা চৌগাছাকে মাদকমুক্ত করার ঘোষনা দেন। যে ঘেষানা সেই কাজ অল্প দিনেই তিনি মাদক সম্রাটদের পাকড়াও, অস্ত্র উদ্ধারসহ নানা কাজ করে সাধারন মানুষের মন জয় করে ফেলেন। কিন্তু বাধ সাধে উপজেলার অসাধু ব্যক্তিরা। তারা ওসির এই কর্মকান্ডে হয়ে উঠেন ক্ষিপ্ত এমনটিই জানা গেছে বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওসি পায়েল হোসেন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার চিহৃত মাদক সামগ্রী মাশিলা গ্রামের সাফিয়া বেগমের ছেলে চোরক্রের হোতা পারভেজ হোসেন সোহাগকে আটক করে। তার শিকারোক্তিতে আটক করা হয় পৌরসভার মাঠপাড়া গ্রামের আর এক চোরচক্রের হোতা মুন্নাকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ওই রাতেই চোরদের সাথে নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে চারটি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনাকে ভিন্নখাতে নিতে মাদক সম্রাজ্ঞী সাফিয়া বেগম গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তার ছেলেকে নিরাপরাধ বানানোর চেষ্টা করেছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
সূত্র জানায়, সাফিয়া বেগম বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগীতায় রমরমা মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাঝে মাধ্যে আটক হলেও জেল থেকে বের হয়ে সে পুনরায় এই ব্যবসা শুরু করে। তার ছেলে পারভেজ হোসেন সোহাগ চিহৃত একজন চোর হিসেবে পরিচিত। সংশ্লিষ্ঠ থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে।
এ দিকে নবাগত ওসি চৌগাছা থানাকে দালালমুক্ত করতে চিহৃত দুই দালালের ছবি সম্বলিত পোষ্টার থানার দেয়ালে ঝুলিয়ে দেন। তারা হলো, দালাল বাবুল (৩৫) ও জীবন খান লিপু (৩৩)। স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে এই দুই ব্যক্তি থানা পুলিশের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছে। শুধু তাই না, অপচিতি কোন ব্যক্তি মেয়ে সাথে চৌগাছায় এলে তাদেরকে টার্গেট করে পিছু নিতো। সময় বুঝে ওদের বিপাকে ফেলে হাতিয়ে নিতো টাকা। এছাড়াও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ স্থানীয়দের। থানার দেয়ালে তাদের ছবি সম্বলিত পোষ্টার দেখে তারাও চটে যাই ওসির বিরুদ্ধে, শুরু হয় চক্রান্ত। একটি অডিও ফোনালাপ সোস্যাল মিডিয়াতে ছেড়ে দিয়ে তারা নির্দোশ প্রমানের চেষ্টা করেছে এমনইটি মনে করছেন অনেকে।
এ বিষয়ে থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ পায়েল হোসেন বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে তো বাধা আসবে এটিই সত্য। তবে কোন ভাবেই আমার কাজকে স্তব্ধ করতে পারবে না। ফোনালাপ তৈরী করে তারা সোস্যাল মিডিয়াতে ছেড়েছে, তদন্ত চলমান আছে। অপেক্ষা করুন সামনে আরো অনেক নতুন চমক অপেক্ষা করছে।