কুমিল্লায় “জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে করণীয়” শীর্ষক কর্মশালা।
খন্দকার মহিবুল হক, কুমিল্লা প্রতিনিধি:
কুমিল্লা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেছেন, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দুর্নীতি রোধ করতে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট-এর বিকল্প নেই। আমরা যদি আমাদের দপ্তরে সঠিকভাবে কাজ করি এবং
আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হই তাহলে দুর্নীতি কমে যাবে।
তিনি গত ০৮ জানুয়ারি ২০২৫ বুধবার সকালে কুমিল্লা সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল এবং টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে করণীয় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
দুর্নীতিবিরোধী সংগঠন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি ও সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), কুমিল্লা এ কর্মশালা আয়োজন করেন। সনাক কুমিল্লা’র সভাপতি অধ্যাপক নিখিল চন্দ্র রায় এর সভাপতিত্বে ও সনাক কুমিল্লার সদস্য বদরুল হুদা জেনুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন সরকারী সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন ও আলোচনা করেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর সিভিক এনগেজমেন্ট বিভাগের সমন্বয়কারী কাজী শফিকুর রহমান। তিনি তার উপস্থাপনায় শুদ্ধাচার কি, কোন কোন ক্ষেত্রে শুদ্ধাচার নিশ্চিত করতে হবে, শুদ্ধাচার কেন প্রয়োজন, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের প্রেক্ষাপট, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের মূল উপাদান, জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলে অন্তর্ভূক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহ,
শুদ্ধাচার বাস্তবায়নের প্রধান টুলস এবং এসডিজি’র ১৬নং লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এছাড়াও তিনি এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার গৃহীত পদক্ষেপ, এসডিজি বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণে করণীয়, এসডিজি অর্জনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ভূমিকা এবং এসডিজি অর্জনে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে করণীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কর্মশালায় জেলার ৭০ টি সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আরো বলেন, আমাদের নিজেদের মধ্যে পরিবর্তন আনতে হবে। সেবা প্রদানে সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে। আমরা যদি আমাদের দপ্তরে দুর্নীতি কমিয়ে দিতে পারি তাহলে সুশাসন ও শুদ্ধাচার
নিশ্চিত হবে। অনেক সময় দেখা যায় দুর্নীতির সাথে সাধারণ জনগণের একটা ব্যাপক অংশগ্রহণ রয়েছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে। তিনি আরও বলেন, ৭১ এর পর থেকে প্রতিটা ক্ষেত্রেই উন্নয়ন হয়েছে। রাষ্ট্রের একটা কাঠামো রয়েছে। সেই কাঠামোর মধ্যে আমাদেরকে চলতে হবে। সিভিল সার্ভিসেও অনেক পরিবর্তন হয়েছে। দুর্নীতির মাত্রাও অনেকাংশে কমে গেছে। আমি সনাক- টিআইবি’র পুরো উপস্থাপনা দেখলাম। খুবই সুন্দর একটা উপস্থাপনা। উপস্থাপনায় যেগুলো রয়েছে আমাদেরকে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, অনেক সময় সেবা গ্রহিতাদের সাথে কথা বললে তারাও বলে আমরা সঠিকভাবে সেবা পাচ্ছি না। সাধারণ মানুষ আমাদের কাছে অনেক কিছু প্রত্যাশা করে। কিন্তু আমাদেরকে তাদের সেই প্রত্যাশা পূরণে কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সনাকের সহ-সভাপতি মাহামুদা আক্তার, সনাক সদস্য রোকেয়া বেগম শেফালী, মোহাম্মদ আনিচুর রহমান আখন্দ, আইরিন মুক্তা অধিকারি ও সেলিনা আক্তার,টিআইবি চট্টগ্রাম ক্লাস্টারের ক্লাস্টার কো-অর্ডিনেটর মো: জসিম উদ্দিন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও সনাক কুমিল্লার ইয়েস গ্রুপের
সদস্যবৃন্দ।