দেবীগঞ্জে নৌবাহিনীর সদস্য প্রেমিকা নিয়ে ঘুরতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার, আহত প্রেমিকাকে রেখে প্রেমিক লাপাত্তা

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
দেবীগঞ্জে প্রেমিকা মৌসুমী (ছন্দনাম) নিয়ে ঘুরতে আসেন নৌবাহিনীর কোষ্টগার্ডে কর্মরত মামুন ইসলাম। ১১ জুন বৃহস্পতিবার বিকেলে মামুন তার প্রেমিকাকে নিয়ে দেবীগঞ্জ উপজেলার বীজ উৎপাদন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার সময় দূর্ঘটনার শিকার হন।
দেবীগঞ্জ উপজেলার কালীগঞ্জের মৌমারী হাকিমপুর এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে। মামুন তার প্রেমিকার সাথে ১৫ দিন আগ থেকে সম্পর্ক গড়ে তোলে। মামুন নিজেকে নৌবাহিনীর কোষ্টগার্ডে চাকুরির কথা বলে সম্পর্কে জড়ায়। মামুন তাকে বিয়ে করারও প্রতিশ্রুতি দেন। ঈদের ছুটিতে এসে মামুন তাকে ঘুড়ানোর কথা বললে ওই কিশোরী রাজি হয়ে তার সাথে বিকেলে বের হন। ওই কিশোরী দেবীগঞ্জ সরকারি কলেজে পড়াশোনা করছে।
সেখানে যাওয়ার পথে দেবীগঞ্জ পুরাতন বাসষ্টান্ড এলাকায় পৌছলে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি অটো চার্জারের সাথে ধাক্কা লেগে তারা রাস্তায় ছিটকে পড়ে। রাস্তায় ছিটকে পড়ে তারা দুজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে মামুন ইসলাম তার প্রেমিকাকে দেবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে রেখে স্বজনদের সহযোগিতায় এম্বুলেন্স নিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে রংপুর সিএমএইচে চলে যান। বর্তমানে মামুনের প্রেমিকা দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছে। পরে ওই কিশোরীর আত্বীয়স্বজনকে খবর দেয়া হয়। তারা এসে ওই মেয়ের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
তারা দূর্ঘটনার শিকার হওয়ার পরে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গেটে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা দূর্ঘটনার ভিডিও ধারন করে। ভিডিও ধারন করার সময় মামুন ইসলাম নিজেকে নৌবাহিনীর কোস্টগার্ডের বড় অফিসার পরিচয় দিয়ে সংবাদকর্মীর দিকে রাগান্বিত ভাবে বলেন আমি যদি সুস্থ থাকতাম তাহলে তোমার কলিজা ছিড়ে ফেলতাম।
মামুনের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন মেয়েদেরকে ফুসলিয়ে সম্মানহানির অভিযোগ উঠেছিল।
দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মুশফেকা খাতুন রুপা জানান, তারা আহত অবস্থায় দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স আসার পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দেযা হয়। মেয়েটি বর্তমানে চিকিৎসাধীন। মামুনকে উন্নত চিকিৎসা দেয়ার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দেবীগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর রবিউল ইসলাম দুর্ঘটনায় আহত
মামুনের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন। বর্তমানে মোটরসাইকেলটি দেবীগঞ্জ থানা হেফাজতে রয়েছে।