দেবীগঞ্জে খুনের শিকার মোকলেছানের ৩ সন্তানের দায়িত্ব নিলেন ওসি সোহেল রানা

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে অজ্ঞাতদের হাতে খুন হওয়া মোকলেছার রহমানের ৩ সন্তানের পুরোপুরি দায়িত্ব নিলেন দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা।
১৪ জুন শনিবার বিকেলে নিহত মোকলেছারের বাড়িতে এসে তার স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের সাথে স্বাক্ষাত করেন।
মোকলেছার রহমান (৩৭) এর বাড়ি দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের খোঁচাবাড়ি এলাকার ধনমন্ডল ঢাকাইয়াপাড়া এলাকায়। তার মীম আক্তার (১৫) কালীগঞ্জ মাটিয়ারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। মোসলেমা আক্তার (৮) দ্বিতীয় শ্রেনীতে পড়ে।
মীম আক্তার, মোসলেমা আক্তার ও আয়শা আক্তার (১৮ মাস) নামে ৩ মেয়ে সন্তান রয়েছে। মীম আক্তার ও মোসলেমা আক্তারকে লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার জন্য বইপত্র, খাতা, কলম কিনে দেন।
মীম আক্তারের ফুপা ইয়াছিন আলীর নিকট নবম শ্রেণির বইপত্র তুলে দেন।
এসময় দেবীগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) প্রবীর কুমার সরকার, বিভিন্ন মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোয়েল রানা জানান, আমি ব্যক্তিগত ভাবে নিহতের পরিবারের দায়িত্ব তুলে নিয়েছি। তাদের পরিবারের জন্য দেবীগঞ্জ থানা মানবতার পরিচয় দিবেন। এখন থেকে নিহতের পরিবারের সদস্যদের যে কোন সময়, যে কোন পরিস্থিতিতে সব সময় পাশে থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, আমি যতদিন বেঁচে থাকবো এবং দেবীগঞ্জ থানায় কর্মরত থাকবো ততদিন তাদের পাশে থাকবো। যাতে তাদের পড়াশোনা বন্ধ না হয়। লেখাপড়ার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবাও নিশ্চিত করবেন তিনি।
উল্লেখ্যে যে, ১১ জুন বুধবার রাতে মোকলেছার রহমানকে বা কারা গলা কেটে জবাই করে হত্যা করে বাড়ির পাশে লাশ ফেলে রাখে। ১২ জুন বৃহস্পতিবার সকাল বেলা পরিবারের সদস্যরা মোকলেছার রহমানের মৃতদেহ বাড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখে লোকজন। এ ঘটনায় মোকলেছারের বাবা শাহাবুদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের নামে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।