ভূঞাপুরে ডাকাতি মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্য গ্রেফতার

খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল :টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে সংঘটিত ডাকাতি মামলায় আন্তঃজেলা ডাকাত দলের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির মালামালের একটি অংশও।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ জানুয়ারি রাতে ভূঞাপুর উপজেলার বাগবাড়ি গ্রামের মো. দুলাল মেম্বারের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্যরা ওই রাতে পরিবারের সদস্যদের হাত-পা বেঁধে নগদ ১ লাখ টাকা, ১ ভরি স্বর্ণের চেইন, ৮ ভরি রুপা ও অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন ১৯ জানুয়ারি ভূক্তভোগী দুলাল ভূঞাপুর থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পর তদন্তে নামে পুলিশ। ভূঞাপুর থানার ওসি (তদন্ত) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির ভিত্তিতে প্রথমে ঢাকার টঙ্গী পশ্চিম থানার একটি ভাড়া বাসা থেকে অভিযুক্ত উপজেলার বাসুদেবতোলের আব্দুস সামাদের ছেলে ইসমাইল হোসেন ওরফে নানু (৩৩) কে গ্রেফতার করে।
তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বাসুদেবতোল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে আতিক হোসেন (২৫) কে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আতিকের ঘরের মেঝেতে গর্ত খুঁড়ে উদ্ধার করা হয় ডাকাতির লুণ্ঠিত ৮ ভরি রুপা ও নগদ ৫ হাজার টাকা।
একই রাতে অভিযান চালিয়ে আরও দুই ডাকাত বাসুদেবতোল গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে ইমান আলী (৩০) ও খাস বড়য়া গ্রামের মোখলেছের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (২২) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার বাদী মো. দুলাল মেম্বার বলেন, “আমি এই ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যেন ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপরাধ করার সাহস না পায়। তবে উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের সেকান্দরের ছেলে পারভেজ ও আজিজের ছেলে মনির বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করতে বলছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) একেএম রেজাউল করিম জানান, গ্রেফতার চার আসামিকে টাঙ্গাইল বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হলে তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতার করা চেষ্টা চলছে।