নাগরপুরে কিশোরী ধর্ষক ফরহাদ গ্রেফতার

নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের পচা সারটিয়া গ্রামের ১৪ বছরের কিশোরীকে জোর করে ধর্ষন করে প্রতিবেশী চাচা ফরহাদ। ফলে কিশোরীটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়। ডাক্তারী পরিক্ষায় নিশ্চিত হয়ে নাগরপুর থানায় মামলা করে ভুক্তভোগীর বাবা। মামলার প্রেক্ষিতে দীর্ঘদিন পলাতক থাকার পর গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত ধর্ষক ফরহাদ।
উপজেলার পচা সারুটিয়া গ্রামের মৃত সিরাজ খানের ছেলে মো. ফরহাদ হোসেন খান (৫৫)
গত ১৪ নভেম্বর ২০২৪ তারিখ দুপুর আনুমানিক ২টার সময় কিশোরীকে ফাঁকা বাড়িতে একা পেয়ে নারী লোভী ফরহাদ, জোর করে কিশোরকে ধর্ষন করে। পরে, ভুক্তভোগীকে খুন করার হুমকি দিয়ে এ ঘটনা প্রকাশ না করার কথা বলে চলে যায়।
মেয়েটি উপজেলার পচাসারুটিয়া মেহের আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের ৮ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী।
গর্ভবতী হওয়ার বিষয়টি তার দাদী বিমলা বেগম অনুমান করতে পেরে কিশোরীকে জিজ্ঞেস করলে, মেয়েটি ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত জানায়।
নিশ্চিত হতে, পরিবার ১৫ মে ২০২৫ তারিখ নাগরপুর বিকল্প ক্লিনিকে সামিয়া আক্তারের গর্ভ সংক্রান্ত ডাক্তারী পরীক্ষা করালে, ডাক্তার তার গর্ভে সন্তানের কথা জানায়। একই দিন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০২০) এর ৯(১) ধারায় ৯ নং ক্রমিকে নাগরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগীর বাবা।
নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. রফিকুল ইসলামের প্রেস রিলিজ থেকে জানা যায়, ফরহাদ উপজেলার ভারড়া ইউনিয়নের পচা সারুটিয়া গ্রামের মৃত সিরাজের ছেলে। সে কিশোরীর প্রতিবেশী এবং সম্পর্কে চাচা। দীর্ঘদিন নাগরপুর ও দেলদুয়ার উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে ফরহাদ কে গ্রেফতার করতে ব্যার্থ হয়েছিল থানা পুলিশ। ২৯ জুলাই গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত পৌনে ১ টার সময় ফরহাদকে পচা সারুটিয়া থেকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ।
আসামী মো. ফরহাদ হোসেন বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক ধর্ষণের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। মেয়েটি বর্তমানে ৮ মাসের গর্ভবতী, এমনটাই জানায় নাগরপুর থানা পুলিশ।