জলাবদ্ধতা নিরসন ও খাল দখলমুক্ত অভিযানে প্রশংসিত সেনবাগ উপজেলার প্রাশাসন

মোঃ সামছু উদ্দিন লিটন, সেনবাগ সংবাদদাতা
নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসন ও সরকারি খাল দখলমুক্ত করার উদ্যোগে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন উপজেলার প্রশাসন।
উপজেলার বিভিন্ন পানি নিষ্কাশনের খাল দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালীদের অবৈধ দখলে ছিল। এর ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হতো জলাবদ্ধতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই খাল দখলমুক্ত ও পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা উন্নত করার উদ্যোগ নেন প্রশাসন।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই ইউএনও মোঃ মহি উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম উপজেলা ও পৌরসভাকে নান্দনিক ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছেন। ওনারা পরিশ্রমী, সৎ ও জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে সবার কাছে পরিচিতি পেয়েছেন।
২০২৪ সালে নোয়াখালী, ফেনী, লক্ষ্মীপুরসহ আশপাশের জেলাগুলোতে ভয়াবহ বন্যায় মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়ে। ২০২৫ সালেও টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে একই অবস্থা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকারি খাল দখল ও ভরাট করায় পানি প্রবাহ ব্যাহত হচ্ছে, যা জলাবদ্ধতার মূল কারণ।
স্থানীয়দের দাবির মুখে সেনবাগের খালগুলো দখলমুক্ত ও পরিষ্কারের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রশাসন। ইউএনও মোঃ মহি উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ জাহিদুল ইসলাম সেনাবাহিনী ও সেনবাগ থানা পুলিশের সহযোগিতায় শুরু হয় দখলমুক্ত অভিযান। ইতোমধ্যে সেনবাগের বাজারের সুপি খালসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাল দখলমুক্ত করা হয়েছে।
অভিযান শেষে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সংবাদিকদের উদ্দেশ্যে উনারা বলেন,” সরকারি খাল,নদী বা জলাশয় ” দখল করে কোন স্থাপনা গড়ে তোলা সম্পূর্ণ অবৈধ।এটি পরিবেশ ও জনস্বার্থে পরিপন্থী।খাল
মানুষের প্রাকৃতিক সম্পদ, পানি নিষ্কাশনের প্রধান মাধ্যম,অথচ কিছু অসাধু ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থে এসব খাল দখল করে বাঁধ নির্মাণ ও দোকান ঘর নির্মাণ করছে, যা আইনগত দণ্ডনীয় অপরাধ।
উচ্ছেদ অভিযান সরকারের “জলাবদ্ধতা সংরক্ষণ” এবং অবৈধ দখলমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের অংশ। আমরা স্থানীয় জন প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকদের আহ্বান জানাচ্ছি আপনারা জনসচেতনতা সৃষ্টি করুন। যাতে ভবিষ্যতে সরকারি সম্পদ দখল করতে না পারে। প্রশাসন যে কারো বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে,জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।