আদমদীঘিতে বিদ্যুৎ চুরির দায়ে আ’লীগ নেত্রীর ম্যাট কারখানা সিলগালা

আবু বকর সিদ্দিক বক্করঃ আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা আ’লীগের নেত্রী সান্তাহার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাশকতা মামলার আসামি নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির প্লাস্টিক ম্যাট কারখানায় বাইপাস করে বিদ্যুৎ চুরির ঘটনা ধরে ফেলেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
ঘটনাটি উপজেলার সান্তাহার ইউনিয়নের হেলালিয়াহাট ও ছাতনি সহ আশপাশের এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
এ ঘটনায় সান্তাহারের হেলালিয়া হাট এলাকায় তার দুটি কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মিটার সিলগালা এবং ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে বলে স্থানীয় সুত্রে তথ্য মিলেছে। এই ঘটনার পর তার কারখানা গত চার দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং কারখানা তালাবদ্ধ অবস্থায় বন্ধ দেখা যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘ দিন ধরে বিদ্যুৎ সংযোগ বাইপাস করে প্লাস্টিক মাদুর তৈরির কারখানা চালিয়ে আসছেন তৃপ্তি। বিষয়টি জানার পর নেসকো সান্তাহার বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সোমবার ওই দুই কারখানায় বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় প্লাস্টিক মাদুর ও মাদুর তৈরির কাঁচামাল উৎপাদন কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশা পাশি ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয় ভাবে পাওয়া তথ্যের সত্যতা জানার জন্য সরেজমিন কার খানার মালিক হিসাবে পরিচিত আ’লীগ নেত্রী নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির সাক্ষাৎ মেলেনি। তার দুটি মোবাইল নম্বরে ফোন করলে বন্ধ পাওয়া যায়। নাহিদ সুলতানা তৃপ্তির ভাই তফিকুল ইসলাম নয়নের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে বিদ্যুৎ চুরির বিষয়টি সঠিক নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, বিদ্যুতের মিটারে সৃষ্ট সমস্যা সমাধানের জন্য নেসকোর কর্মকর্তারা এসেছিলেন। তিন-চার দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান হবে।
এমতাবস্থায় স্থানীয়রা দাবী করেন ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে উভয় পক্ষ মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে নেসকো সান্তাহার দপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ওমর ফারুক বলেন, এ বিষয়ে তথ্য দেওয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কোনো অনুমোদন নেই। তথ্য নিতে হলে নেসকোর তথ্য সেলে যোগাযোগ করতে হবে। মোবাইল ফোনে তথ্যসেলে যোগাযোগ করা হলে সেখানে কর্তব্যরত মেহেদি হাসান নামের ব্যক্তি সাংবাদিকদের তথ্য অধিকার আইন পালন করার কথা বলেন।