মাদারীপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষনের অভিযোগ নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

সাব্বির হোসাইন আজিজ, মাদারীপুরঃ মাদারীপুরের কালকিনিতে সাব্বির হোসেন ফকির-(২০) নামে নিষিদ্ধ ঘোষিত এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চরআলিমাবাদ গ্রামে ওই ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে বিয়ে দাবিতে ১৫ বছরের এক কিশোরী অবস্থান নিয়েছেন।রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের চরআলিমাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ওই ছাত্রলীগ নেতার বাবা একই ইউনিয়নের ৭ নংওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ জাকির ফকির ভুক্তভোগী কিশোরীর পরিবারকে সমাধানের আশ্বাস দিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় এবং বিয়ে না করেই পালিয়ে বেড়াচ্ছে ঐ ছাত্রলীগ নেতা। পরে পরিবারের কাছে ফিরে যায় কিশোরী। এই ঘটনায় ওই কিশোরীর পরিবার থানায় অভিযোগ করেন। অপরদিকে এলাকাবাসী এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন।
ভুক্তভোগী পরিবার, পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার করারিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য সাব্বিরের সঙ্গে এক কিশোরীর মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রায় এক বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ওই কিশোরীর সঙ্গে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ নেতা সাব্বির। অন্যদিক শনিবার রাতে এ ঘটনা জানাজানি হলে ওই ছাত্রলীগ নেতার বাড়িতে এসে ভুক্তভোগী কিশোরী অবস্থান নেয়। পরে অভিযুক্ত সাব্বিরের বাবা ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ফকির এই ঘটনার সমাধান করে দেবেন বলে ওই কিশোরীর পরিবারকে আশ্বাস দিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। তবে এলাকাবাসী এই ঘটনার সঠিক বিচার দাবি করেন। উপায়ান্তর না পেয়ে অসহায় ওই তরুণীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী তরুণী কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাব্বরি ফকির বেশ কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। আমি তার কঠিন বিচার চাই।
ভুক্তভোগী তরুণীর মা বলেন, আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে জাকির মেম্বরের ছেলে সাব্বির তার জীবন শেষ করে দিয়েছে। তবে আমাকে জাকির মেম্বর এই বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে। তাই আমি তাদের নামে মামলা করবো
স্থানীয়রা বলেন, আমরা একটি পরিত্যক্ত স্থান থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করেছি। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত সাব্বির পালিয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক বিচার দাবি করছি। ইউপি সদস্য জাকির হোসেন ও ওই ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি কে এম সোহেল রানা বলেন, এই ঘটনায় থানায় এসে ওই তরুণী ও তার মা অভিযোগ করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।