পঞ্চগড়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ
																																		একেএম বজলুর রহমান  পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ে প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধীর ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের মাঝে বিনামূল্যে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) জেলা প্রশাসকের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড়ের বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সুমন চন্দ্র দাশ।
এ ছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান, জেলা কালচারাল অফিসার জাকির হোসেন, ক্লিনিক্যাল ফিজিওথেরাপিস্ট ডা: দিপক কুমার রায় সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপকারভোগীরা।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পঞ্চগড় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. শাহজাহান।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, পঞ্চগড় প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের উদ্যোগে ৩২ জন উপকারভোগীর মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ট্রাইসাইকেল ৫টি, হুইল চেয়ার ২১টি, ওয়াকার ৩টি, অক্সিলারি ২ জোড়া এবং এলবো  ১টি
উপকারভোগী সুমন হাসান, নিম নগরের এক স্কুল শিক্ষার্থী বলেন, আমি মিরগড় মঈনুদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীতে পড়ি। আগে হাঁটতে হাঁটতে বিদ্যালয়ে যাওয়া আমার জন্য খুব কষ্টকর ছিল। এখন সরকারি ট্রাইসাইকেল পেয়ে আমি অনেক খুশি। এতে বিদ্যালয়ে যাওয়া অনেক সহজ হয়ে গেল।
হরেন্দ্র বর্মণ, গড়ীনাবাড়ী এলাকার এক উপকারভোগী জানান, আমি প্রায় এগারো বছর ধরে হুইলচেয়ার ছাড়া চলাচল করতে পারছিলাম না। হঠাৎ একদিন আমার ছেলে জেলা প্রশাসকের ফেসবুক পেজে ফ্রি হুইলচেয়ার বিতরণের বিজ্ঞাপন দেখে আবেদন করে। আজ সেই হুইলচেয়ার পেয়েছি। এখন আমি কিছুটা হলেও স্বাধীনভাবে চলতে পারবো।
প্রধান অতিথি সুমন চন্দ্র দাশ বলেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর কল্যাণে নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ সহায়ক উপকরণ তাদের জীবনমান উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
সভাপতি শাহজাহান বলেন, আমরা জেলা প্রশাসন ও জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রতিবন্ধী ও প্রতিবন্ধিতার ঝুঁকিতে থাকা মানুষদের মাঝে সহায়ক উপকরণ বিতরণ করছি। ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
        
                        

                        
                            
