গাজীকালু চম্পাবতীর মাজার কমিটির বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ভিত্তিহীন।

মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল স্টাফ রিপোর্টার
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজারের বাদুরাগাছা গ্রামে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী শাহ গাজীকালুর চম্পাবতীর মাজার কমিটির বিরুদ্ধে সম্প্রতি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন মাধ্যমে এ অভিযোগ ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা—সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
এই অভিযোগের প্রতিবাদে আজ মাজার প্রাঙ্গণে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মাজার কমিটির সভাপতি মোঃ মাহাবুবুর রহমান লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিটির সিনিয়র সহ—সভাপতি মনিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান, সহ—সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, কোষাধ্যক্ষ শফিকুল ইসলামসহ অন্যান্য সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মাজার কমিটির বিরুদ্ধে ছড়ানো অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। গুজব ছড়ানো হয়েছে যে, বর্তমান কমিটি ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। অথচ এর কোনো প্রমাণ নেই।
কমিটির নেতৃবৃন্দ জানান, প্রতিবছর মাজারে দুটি বড় মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়—একটি ফাল্গুন মাসে, অন্যটি ভাদ্র মাসে। সর্বশেষ আয়োজিত মাহফিলে বিভিন্ন খাত থেকে আয় হয়েছিল ৪ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা। এর মধ্যে ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯২ হাজার ৯২০ টাকা। অবশিষ্ট ৩ লাখ ৩৮ হাজার ১১৬ টাকা বর্তমানে বারবাজার সোনালী ব্যাংকে জমা আছে। তাই প্রশ্ন থেকেই যায়—এখানে ১৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আসলো কীভাবে?
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা দাবি করেন, বিগত ১৭ বছর ধরে যারা মাজার কমিটি পরিচালনা করেছেন, তারা কখনোই আর্থিক হিসাব দেননি, এমনকি কোনো ব্যাংক হিসাবও খোলা হয়নি। অথচ বর্তমান কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকেই স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মাধ্যমে সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।
কমিটির সভাপতি মাহাবুবুর রহমান বলেন, “আমরা নিয়মিতভাবে ব্যাংকে অর্থ জমা রাখছি। প্রতিটি টাকার হিসাব রাখা হচ্ছে এবং কমিটির বৈঠকে তা উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ নেতৃত্ব থেকে ছিটকে পড়া কিছু মহল ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
গ্রামবাসীর অবস্থান
সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও গ্রামবাসীও উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযোগ করেন, একটি চক্র পরিকল্পিতভাবে মাজার ও এলাকাবাসীর সুনাম ক্ষুণ্ণ করতে কাজ করছে। মাজারের বিশাল জনপ্রিয়তা ও মাহফিল আয়োজনে মানুষের সম্পৃক্ততা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এ সময় এলাকাবাসী সুধীজন ছাড়াও পিন্ট ও ইলেক্্রট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
মাজার কমিটি সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে—বর্তমান কমিটি পরিচ্ছন্ন, স্বচ্ছ ও নিয়মিতভাবে সব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং এটি একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্র ছাড়া কিছুই নয়।