ইন্দোনেশিয়ায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ অন্তত ১০০০ শিক্ষার্থী

পশ্চিম জাভা প্রদেশের গভর্নর দেদি মুলিয়াদি বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগের কারণে এই কর্মসূচি স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলো।
ইন্দোনেশিয়ার প্রায় ৮ কোটিরও বেশি স্কুল শিক্ষার্থীর জন্য বিনামূল্যে খাবার সরবরাহের উচ্চাভিলাষী এই কর্মসূচি শুরু করেছিলেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
গত বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনী প্রচারে প্রাবোওর ইশতেহারের কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই ১০.২২ বিলিয়ন ডলারের কর্মসূচি। তবে দ্রুতই এই প্রকল্পের মান ও তদারকি সম্পর্কে প্রশ্ন উঠেছে দেশজুড়ে।
গভর্নর মুলিয়াদি বলেছেন, পশ্চিম বান্দুংয়ে সোমবারের বিনামূল্যে মধ্যাহ্নভোজ খাওয়ার পর ৪৭০ জনের বেশি শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, পশ্চিম বান্দুংয়ের ছোট হাসপাতালগুলো অসুস্থ শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। যারা এই কর্মসূচি চালাচ্ছেন তাদের খাদ্যের মান ও তদারকি নিশ্চিত করার পাশাপাশি অসুস্থ শিক্ষার্থীদের ট্রমা কীভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন গভর্নর।
স্থানীয় সরকার খাদ্যে গণ বিষক্রিয়ার কারণে পশ্চিম বান্দুং অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।
সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করার অনুরোধে প্রেসিডেন্ট প্রবোভোর অফিস তাৎক্ষণিকভাবে সাড়া দেয়নি।
এদিকে বিষক্রিয়াযুক্ত রান্নাঘর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিনামূল্যে খাদ্য কর্মসূচির তত্ত্বাবধানকারী ন্যাশনাল নিউট্রিশন এজেন্সির প্রধান দাদান হিন্দায়ানা।
গভর্নর মুলিয়াদি জানান, রান্নাঘরগুলোকে অনেক বেশি শিক্ষার্থীকে খাওয়ানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এগুলো স্কুল থেকে অনেক দূরে অবস্থিত, তাই মধ্যাহ্নভোজের খাবার তাদের আগের রাতে রান্না করতে বাধ্য করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘খাবার গরম থাকা অবস্থায় এগুলোকে প্যাকিং করে ফেলায় তা নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
থিংক ট্যাঙ্ক নেটওয়ার্ক ফর এডুকেশন ওয়াচ অনুসারে, জানুয়ারিতে চালু হওয়ার পর থেকে দেশব্যাপী এই কর্মসূচির খাবার গ্রহণ করে অন্তত ৬ হাজার ৪৫২ জন শিশু বিষক্রিয়ায় ভুগেছে।