অবিলম্বে বন্দরের বাড়তি মাশুল স্থগিত চায় পেশাজীবি পরিষদ

চট্টগ্রাম ব্যুরো
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদ, চট্টগ্রাম গভীর উদ্বেগের সঙ্গে জানিয়েছে যে, ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের নতুন ট্যারিফের গেজেট প্রকাশ করা হয়, যা ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়েছে। বন্দরের ৫২টি সেবা খাতে গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ পর্যন্ত ফি ও মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিদেশি অপারেটরদের সুবিধা দিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন ব্যবসায়ীরা।
এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের আহ্বায়ক জাহিদুল করিম কচি, সদস্য সচিব ডা. খুরশীদ জামিল চৌধুরী এবং প্রকৌশলী জানে আলম সেলিম বলেন, বর্ধিত ট্যারিফ আদায় বন্ধ না হলে আজ (রোববার) থেকে ৪ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি এবং এক সপ্তাহের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছে পোর্ট ইউজার্স ফোরাম। একইসঙ্গে আজ থেকে ট্রেইলার ধর্মঘট শুরু হয়েছে, ফলে কনটেইনার পরিবহন ব্যাহত হচ্ছে। যা দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম বন্দর একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান, যা প্রতি বছর আড়াই থেকে তিন হাজার কোটি টাকা লাভ করে। লোকসানে না থাকা এই প্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপের যৌক্তিকতা নেই। আমরা কোনো সংঘাত চাই না। বর্ধিত মাশুল অবিলম্বে স্থগিত করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত ট্যারিফ নির্ধারণ করতে হবে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আশা প্রকাশ করেন, আগামী নির্বাচনের পর নতুন সরকার দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে যৌক্তিক ট্যারিফ নির্ধারণ করবে। একই সঙ্গে সরকারকে ব্যবসাবান্ধব সিদ্ধান্ত নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্ভাব্য অচলাবস্থা থেকে উত্তরণের আহ্বান জানান তারা।