১ টাকা কমিশনের ব্যবসায় কোটি টাকা বকেয়া, অভিযোগ আমদানিকারকের

জাকির হোসেন,বেনাপোল-শার্শা প্রতিনিধি:
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের গুজরাট প্রদেশ থেকে ফ্রোজেন ফিশ (জমাটবদ্ধ মাছ) আমদানি ব্যবসায় কেজি প্রতি ১ টাকার কমিশন চুক্তিতে কোটি টাকার বকেয়া রেখে প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। বেনাপোলের আমদাননিকারক প্রতিষ্ঠান, মা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী মোঃ সাইদুর রহমান সাইদ।
সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে বেনাপোল রহমান চেম্বারের চতুর্থ তলায়, তার নিজস্ব অফিস কক্ষে আয়োজিত এক লিখিত বক্তব্যে তিনি এ অভিযোগ করেন।
আমদানিকারক সাইদুর রহমান জানান, ২০২২ সাল থেকে তিনি চট্টগ্রামের ‘চট্টগ্রাম ফিসারিজ এ জে এস ট্রেডিং’ এর সত্ত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন এবং ‘রূপালী বাণিজ্য সংস্থা’ এর মালিক কামরুজ্জামান রুমানের সঙ্গে ফ্রোজেন ফিশ আমদানি ব্যবসা শুরু করেন। ভারতীয় গুজরাট থেকে মাছ আমদানি করে উক্ত দুই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিমাফিক লেনদেন করে আসছিলেন।
তিনি বলেন, “আমি ব্যবসায় সফলতা আনয়নের লক্ষ্যে সময়ের ব্যবধানে প্রতি কেজি মাছের শুল্ক করাদি বাবদ আমার মনোনীত সিএন্ডএফ প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন সময়ে কেজি প্রতি ২৬.৫০ থেকে ৩২.৫০ টাকা পর্যন্ত পরিশোধ করেছি। এছাড়া ভারতে স্লট বুকিংয়ের জন্য প্রতিটি ট্রাকে ৬ হাজার টাকা দিয়েছি।” এর জন্য আমাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করতে হয়েছে, এমনকি আমার বাবার সম্পত্তি ও বিক্রি করতে হয়েছে ব্যবসার জন্য।”
সাইদুর রহমান আরও বলেন, “আমি কেজি প্রতি ১ টাকার কমিশন বাদে প্রায় ৯০ লাখ কেজি মাছের ডিউটির টাকা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৬৭ লাখ ৮১ হাজার ২৬০ টাকা পরিশোধ করেছি। বর্তমানে তাদের কাছে আমার ১ কোটি ৩ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে।”
তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমানে তারা আমার বকেয়া টাকা পরিশোধ না করে, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে অন্য ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে একইভাবে আমদানি ব্যবসা করছে। আমি আমার পাওনা টাকা চাইলে তারা টালবাহানা করছে।” তার ছোট্ট এই ব্যবসায় অগাধ পরিমাণে অনাদায়ী পড়ে আছে এবং উক্ত ব্যবসাটি অন্যহাতে চলে যাওয়ায়,তার ঋণের টাকা পরিশোধে তিনি এখন দেউলিয়া হয়েগেছে বলে জানান-সংবাদ সম্মেলনে।
সাইদুর রহমান আরও বলেন, “আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে ন্যায়বিচার কামনা করছি। তারা আমার বকেয়া টাকা পরিশোধ করে যেখানে খুশি, যার সঙ্গে ইচ্ছা ব্যবসা করুক-তাতে আমার কনো আপত্তি নাই। আমি শুধু আমার ন্যায্য প্রাপ্য পাওনা টাকা বুঝে পেতে চাই।”
এ সময় তিনি বেনাপোলের স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সংশ্লিষ্ঠ সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করেছেন। আর কনো উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে, বেনাপোলের স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের কে তার অফিসে আমন্ত্রণ জানান এবং সকলের কাছে বিষয়টি তুলে ধরেন এবং বিনীত অনুরোধ জানিয়ে বিভিন্ন পত্র/পত্রিকায় নিউজ করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ ও বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানোর জন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।সেখানে বিভিন্ন মিডিয়া কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন।