অবৈধ স্থাপনা ও ময়লার ভাগাড়ের দখলে ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী খাল
সাজেদুল ইসলাম , ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের যমুনা নদীর পূর্ব পাড় থেকে গোবিন্দাসী বাজার দিয়ে বয়ে চলা খাল দিয়ে একসময় চলাচল করতো পালতোলা নৌকা। ব্যবসা-বাণিজ্যের মালামাল আনা-নেওয়া সহ নৌকা দিয়ে মানুষজন যাতায়াত করত এই খালটি দিয়ে। সময়ের স্রোতে আজ সেই খাল হারিয়ে ফেলেছে তার ইতিহাস ও ঐতিহ্য । দখল আর দূষণের চাপে প্রাণহীন হয়ে পড়েছে খালটি, হারিয়েছে তার স্বাভাবিক রূপ ও প্রবাহ।
শত বছরের পুরোনো এই খালটি যমুনা নদী থেকে শুরু হয়ে গোবিন্দাসী বাজার হয়ে আমলা পর্যন্ত বিস্তৃত। একসময় খালটির প্রস্থ ছিল ৪৫ থেক ২২ মিটার পর্যন্ত। বর্তমানে খালটির পাশ দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীরা দখল করে গড়ে তুলেছে অবৈধ দোকানপাট, গুদামঘর ও বসতবাড়ি। ফলে খালটি এখন সঙ্কুচিত হয়ে দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ থেকে ১২ মিটারে।
অপরদিকে খালটি বাজারের অংশে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নোংরা পানি, দুর্গন্ধ আর পঁচা আবর্জনায় টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে আশপাশের মানুষের। বর্ষার সময় ও টানা বর্ষনে বাজার ও আশপাশের এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। খালটি সঙ্কোচিত হওয়ার ও ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ার বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যায় হাট-বাজার ও আশপাশের এলাকা। এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় ব্যবসায়ীদের।
গোবিন্দাসী বাজারের ব্যবসায়ী সহ আশপাশের লোকজন বলেন- দুইপাশে দখল করে অনেকে ঘর-বাড়ী ও দোকানপাট তৈরি করে খালটি দখল করে নিয়েছে। এছাড়াও বাজারের সকল ময়লা-আবর্জনা খালের মধ্যে ফেলা হচ্ছে। এর ফলে চারিদিকে দুর্গন্ধ ও রোগজীবাণু ছড়িয়ে পড়ছে। এদিকে মায়লার ভাগাড়ে খালটি ভরাট হয়ে যাওয়ার বর্ষা মৌসুমে খাল উপচে হাট-বাজার ও আশপাশের এলাকা পানিতে তলিয়ে যায়। যার ফলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা খালটি দখলমুক্ত সহ ময়লা ফেলার অন্যত্র ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের জোর দাবি জানাচ্ছি।
এবিষয়ে ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান বলেন- খালটি পুনরুদ্ধারে প্রাথমিক কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত সময়ে মধ্যে দখলমুক্ত করে খালটির স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনা হবে।





