জাজিরায় মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দুই দিনব্যাপী কর্মবিরতি
মুহাম্মদ বরকত মোল্লা শরীয়তপুর প্রতিনিধি
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের দীর্ঘদিনের দাবি ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই দিনব্যাপী কর্মবিরতি পালিত হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন সংশ্লিষ্ট পেশাজীবীরা। পরদিন বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে কর্মদিবসজুড়ে পূর্ণদিবস ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করা হয়।
ঘোষিত এ কর্মসূচিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্টসহ বিভিন্ন শাখার পেশাজীবীরা অংশ নেন। কর্মবিরতি ও মানববন্ধনে বক্তারা জানান, স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও দীর্ঘদিন ধরে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন না হওয়ায় তারা পেশাগতভাবে উপেক্ষিত হয়ে আসছেন।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদের নেতারা বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক ও কার্যকর সিদ্ধান্ত প্রত্যাশা করেন তারা।
কর্মবিরতির কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিভিন্ন ল্যাবরেটরি পরীক্ষা ও কিছু সেবা কার্যক্রম ব্যাহত হলেও জরুরি চিকিৎসা সেবা স্বাভাবিক ছিল।
ফার্মাসিস্ট মোঃ আসলাম মিয়া জানান,
“সঠিক ওষুধ ব্যবস্থাপনা থেকে রোগীর নিরাপত্তা—প্রতিটি ধাপে ফার্মাসিস্টদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবুও আমরা এখনো ন্যায্য ১০ম গ্রেড থেকে বঞ্চিত। সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে বলে আশা করি।”
ল্যাব টেকনোলজিস্ট মোঃ হুমায়ুন কবির বলেন,
“চিকিৎসকের ৭০–৮০ শতাংশ সিদ্ধান্ত নির্ভর করে সঠিক ল্যাবরেটরি রিপোর্টের ওপর। অথচ আমরা বছরের পর বছর প্রাপ্য গ্রেড পাইনি। এতে আমরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।”
টেকনোলজিস্ট ফাতেমা আক্তার লাইলী বলেন,
“সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে স্যাম্পল সংগ্রহ ও রোগী পরীক্ষার মতো কাজ আমরা প্রতিনিয়ত করি। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পদের মর্যাদা না পাওয়ায় আমরা হতাশ। সরকার দ্রুত ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন করলে সেবার মান আরও উন্নত হবে।”
পেশাজীবীরা বলেন, স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল ও টেকসই করতে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।





