শরীয়তপুরে হিমাগারে সাত মাস ধরে পড়ে থাকা ভারতীয় নাগরিকের মরদেহের সৎকার সম্পন্ন
মুহাম্মদ বরকত মোল্লা
শরীয়তপুর প্রতিনিধি
শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের হিমাগারে দীর্ঘ সাত মাস ধরে সংরক্ষিত থাকা ভারতীয় নাগরিক রাজন (৬৩)-এর মরদেহ অবশেষে সৎকার করা হয়েছে। বুধবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে শরীয়তপুর পৌরসভার মনোহর বাজার শ্মশানঘাটে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে মরদেহ দাহ করা হয়।
রাজন ভারতের দিল্লি প্রদেশের দিলিপের ছেলে হলেও তার সুনির্দিষ্ট জেলা বা ঠিকানা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
কারা কর্তৃপক্ষ জানায়, ২০২২ সালের ২৫ আগস্ট জাজিরা উপজেলার পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানা এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে রাজনকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে মামলার শুনানিতে আদালত ২০২৩ সালের ১৯ নভেম্বর তাকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। সাজা শেষ হলেও আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়ার কারণে তিনি আর পি বন্দি হিসেবে কারাগারে অবস্থান করছিলেন।
গত ১৮ মে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর নানা প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার অপেক্ষায় তার মরদেহ হাসপাতালের হিমাগারে রাখা ছিলো দীর্ঘসময়।
শরীয়তপুর জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশীদ বলেন, “রাজন আর পি বন্দি ছিলেন। মৃত্যুর পর মরদেহ দীর্ঘদিন হিমাগারে সংরক্ষিত ছিলো। দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার পর মরদেহ দাহ করার সিদ্ধান্ত হয়। সৎকারের পর বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানিয়ে দেওয়া হবে।”
দীর্ঘ আইনি ও কূটনৈতিক প্রক্রিয়া শেষে অবশেষে শেষ হলো ভারতীয় নাগরিক রাজনের লাশের অপেক্ষা—সম্পন্ন হলো তার সৎকার।





