দেবীগঞ্জে যুবলীগের নেতার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, জব্দ করা গাছ পড়ে আছে স,মিলে

একেএম বজলুর রহমান, পঞ্চগড়
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে। ওই যুবলীগর নাম আব্দুল হালিম। তিনি দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ পদে দায়িত্বে রয়েছেন। গাছ কাটার সাথে জড়িত তার অপর দুই সহযোগীরা হলেন আওয়ামী লীগের কর্মী সোনা মিয়া ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক সোহরাব আলী। আব্দুল হালিম দন্ডপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজগর আলীর মদদেই এসব গাছ কেটেছেন বলে জানান স্থানীয়রা। যার কারনে আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
জানা যায়, ৩০ মার্চ রাতের অন্ধকারে দেবীগঞ্জ উপজেলার দন্ডপাল ইউনিয়নের খগেরহাট হতে সেনপাড়া রাস্তার প্রায় ২১টি গাছ কেটে ফেলা হয়। সেগুলোর দাম প্রায় ৫০ হাজার টাকা। অবৈধ ভাবে এসব গাছ কাটার পর সেসব গাছ ভ্যান যোগে পাচারের উদ্দেশ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য রওনা দিলে খগেরহাট বাজারের স্থানীয় লোকজন বাধা দেন। পরে এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অবিনাশ চন্দ্র রায় কে খবর দেন। ইউপি সদস্য অবিনাশ চন্দ্র রায় দন্ডপাল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজগড় আলীকে জানান। পরে আটক করা গাছগুলো খগেরহাট বাজারের মোস্তফা জব্বারের করাত কলে এনে জড়ো করা হয়। দেবীগঞ্জ থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশের সদস্যরা এসে জব্দ করে সেখানের করাত কলে রেখে দেন। জব্দ করার ৪১ দিন পাড় হয়ে গেলেও গাছগুলো ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসা হয়নি। অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে গাছগুলো। অনুমতি ছাড়া গাছ কাটা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নেয়া হয়নি আইনগত ব্যবস্থা। গাছ কাটা ব্যক্তিদের সাথে গোপনে মিমাংসা করার জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয় লোকজন।
দন্ডপাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজগড় আলী তার দলের লোক হওয়ার কারনে হালিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে রাস্তার গাছ কাটার অভিযোগটি স্বীকার করে বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পরামর্শে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দেবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান জানান, যারা গাছগুলো লাগিয়েছে তারাই আবার কেটেছে। অনুমতি ছাড়া নিয়মের বাইরে কেটেছে।