শেখ হাসিনা স্বীকৃত বিশ্ব খুনি, বাংলাদেশে তাঁর রাজনৈতিক অধ্যায় শেষ কক্সবাজার সালাউদ্দিন আহমেদ

নুরুল ইসলাম কক্সবাজার
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এবং রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবেলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে ১৭ ফেব্রুয়ারী কক্সবাজার মুক্তিযুদ্ধ মাঠে কক্সবাজার জেলা বিএনপি আয়োজিত একটি সমাবেশ আয়োজন করা হয়। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাউদ্দিন আহমেদ। তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দাফন হয়েছে। তার আর বাংলাদেশে আসার কোন সুযোগ নেই। স্বৈরাচার এরশাদ, মুজিবকে এদেশের মানুষ ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করেছিল। কিন্তু গণহত্যা, গুম,খুন জনগনের অধিকার কেড়া নেওয়ায় এদেশের ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থান শেখ হাসিনাকে দিল্লি পাঠিয়ে দিয়েছে। শেখ হাসিনার রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যক্তি যেমন কথা বলতে পারেনা তেমনি শেখ হাসিনার কথা বলার কোন বা বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই। তিনি তার বক্তব্যে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিকে মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ হিসেবে উল্লেখ করেন। আওয়ামী লীগককে উদ্দেশ্য তিনি বলেন আপনাদের নেত্রী পালিয়ে গেছে আর আসার কোন সুযোগ নেই তাই লাফালাফি বন্ধ করেন। তিনি বলেন, ১৯৫৪ থেকে ১৯৯০ সকল স্বৈরাচার শাসকের বিদায় হয়েছে নিকৃষ্টতম উপায়ে। তার চেয়ে খারাপ অবস্থা হয়েছে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক দাফন হওয়ার মাধ্যমে।
তিনি অন্তরবর্তিকালিন সরকার কে উদ্দ্যশ্যে করে বলেন, ১৬ বছরের ইতিহাস ছিল রক্তের ইতিহাস । বিগত ১৬ বছর বিএনপি জনগণের অধিকার আদায়ে রাজপথে রক্ত দিয়েছে। তাই বিলম্বিত না করে ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিয়ে জনগণের নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন। সংস্কার সংস্কার না করে নির্বাচনের জন্য স্বল্প সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেন। স্থানীয় নির্বাচনের জন্য ছাত্র জনতা জীবন দেই নাই। রাজনৈতিক সরকারের জন্য ১৬ বছরের আন্দোলন। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন আনুপাতিক হারে যে কল্পনা তা কখনো হইনি। তাই বিলম্ব না করে সাংবিধানিক ম্যান্ডেট সংসদ নির্বাচন দিন। দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ করুন এবং আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে দেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করছে তাদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করুন এবং জনগণের সার্বভৌমত্ত্ব ফিরিয়ে দিন।
উক্ত অনুষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াত: এভ মৌলভী রিদওয়ান । কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য,আলমগীর মোঃ মাহফুজুল শাহ ফরিদ।চট্টগ্রামে বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক, ব্যারিস্টার মীর হেলাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মৎস বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজলবক্তব্য প্রদান কারেন:শাহ আমানত: শহর ছাত্রদলের সভাপতি: হুমায়ূন কবির হিমু।এড: তৌহিদুল আনোয়ার একরামুল হক: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি।জেলা জাহাজের সভাপতি: নাছির উদ্দিন জেলা তাতীদলের আহ্বায়ক: ইমাম খালেদ সপন।সদস্য সচিব: জনাব শহিদ উদ্দিন বাহাদুর।জেলা ছাত্রদলের সভাপতি:ফাহিমুর রহমান ।কক্সবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব, সরওয়ার রোমন।সহর যুবদলের আহ্বায়ক: আজিজুল হক সোহেল। জেলা শ্রমিক দলের আহ্বায়ক: কুতুব উদ্দিন কুতুব। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক, জিজান উদ্দিন জিজান। কক্সবাজার কৃষক দলের আহ্বায়ক, গিয়াস উদ্দিন আফসেল। কক্সবাজার মৎসজিবি দলের আহ্বায়ক, মোস্তফা কামাল। জেলা যুবদলের আহ্বায়ক, এডভোকেট ছৈয়দ আহমেদ উজ্জ্বল। কক্সবাজার জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি, রফিকুল ইসলাম। রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি, ফোরকান আহমদ। টেকনাফ পৌরসভার বিএনপির সভাপতি, আবদু রাজ্জাক। ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, আবুল কালাম। টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি, এডভোকেট হাসান সিদ্দিকী। উখিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, সরওয়ার জাহান চৌধুরী।চকরিয়া পৌর বিএনপির, আহ্বায়ক সরওয়ার হায়দার।কক্সবাজার সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক, আব্দুল মাবুদ। মহেশখালী উপজেলা বিএনপির সভাপতি, আবু বক্কর সিদ্দিক। কক্সবাজার পৌর বিএনপির, আহ্বায়ক, রফিকুল হুদা চৌধুরী। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, জামিল উদ্দিন চৌধুরী। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, অ্যাডভোকেট নুরুল আলম। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, মমতাজ আহমেদ। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, মিজানুর রহমান চৌধুরী খোকন মিয়া। কক্সবাজার জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি, এনামুল হক।
কক্সবাজার জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি, এটিএম নুরুল বশর চৌধুরী। চট্টগ্রামে বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক, মাহবুবে রহমান শামীম প্রমুখ