সারাদেশ

মানিকগঞ্জে ৫০ শয্যা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে অকেজো এক্সরে মেশিন 

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি এনালগ এক্স-রে মেশিন।  কিন্তু লোকবলের অভাবে এক্স-রের কাজ দীর্ঘদিন বন্ধ রয়েছে। ফলে চিকিৎসা নিতে আসা লোকজনকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ঠান্ডাজনিত রোগীর চাপ বেড়েছে। বুকের এক্সরে করার প্রয়োজন পড়ছে এসব রোগীদের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্সরে সুবিধা না থাকায় বাইরে থেকে উচ্চমূল্যে এক্সরে করাতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি বাড়ছে খরচ।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালের দিকে ৩১ শয্যাবিশিষ্ট সাটুরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয়। পরে ২০১০ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। অথচ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাটুরিয়া ছাড়াও পার্শ্ববর্তী ধামরাই, নাগরপুর, দৌলতপুর উপজেলার অনেকে সেবা নিতে আসেন। প্রতিদিন বহির্বিভাগে ২৫০ থেকে ৩৫০ রোগী সেবা নেন। আর ৮০ থেকে ১০০ রোগী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি থাকেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এবং জনবল সংকটের কারণে তারা পাচ্ছেন না কাঙ্ক্ষিত সেবা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নিচতলায় একটি এনালগ এক্স-রে মেশিন টেকনিশিয়ানের অভাবে তালাবদ্ধ অবস্থায় নষ্ট হবার পথে । চালানোর মতো কোন টেকনিশিয়ান নেই। এক্স-রে টেকনিশিয়ান অবসরে যাওয়ার পর কোন টেকনিশিয়ান নিয়োগ হয়নি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সেবিকা জানান, প্রতিদিন অসংখ্য রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন। এর মধ্যে অনেকের এক্স-রের প্রয়োজন হয়। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে টেকনিশিয়ান না থাকায় সেবা বন্ধ আছে। প্রতিদিন চিকিৎসকেরা ২০ থেকে ৩০ জন রোগীকে এক্স-রে পরীক্ষা করার জন্য হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠান। এতে হাসপাতাল রাজস্ব আয় থেকে যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি রোগীদেরও গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। এনালগ এক্স রে মেশিনের পরিবর্তে ডিজিটাল হলে হয়তবা সেবা দেওয়া সম্ভব বলে মন্তব্য।
পাকুটিয়া রাহেলা বেগম নামে এক রোগীর অভিভাবক বলেন, ‘রোগীকে হাসপাতালে বাইরে একটি ক্লিনিক থেকে ৬০০ টাকা দিয়ে এক্স-রে করিয়েছেন। অথচ হাসপাতালের এক্স-রে চালু থাকলে ৬০/৭০ টাকা খরচ হতো।’
মুন্সীচর গ্রামের  আব্দুল করিম বলেন, তাঁর রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দেখে এক্স-রে করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু হাসপাতালে এক্স-রে মেশিন চালু না থাকায় তিনি হাসপাতালের বাইরে এক্স-রে করিয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাঃ মামুনুর রশিদ বলেন, ‘দুঃখজনক হলেও সত্য, এনালগ এক্স-রে মেশিন রয়েছে। টেকনিশিয়ান অবসরে যাওয়ার পর নতুন কোন টেকনিশিয়ান পাইনি। বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। এছাড়া প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে। প্রয়োজনীয় লোকবলের কারনে পরিপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে রোগীরা। তাদের হাসপাতালের বাইরে বিভিন্ন ক্লিনিকে পাঠাতে হয়। আশা করছেন এক্স-রে করার সমস্যাটি অচিরেই দূর হবে।

You may also like

সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,
সারাদেশ

আইনপুর গ্রামে পরিতোষ , সন্তোষ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ঘটনা ঘটে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আইনপুর গ্রামের পরিতোষ সূত্রধর ও সন্তোষ সূত্রধর বাড়িতে আগুনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ০৭/০৮/২৪ ইং