২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার আয়োজনে ২৫ মার্চ কালরাত্রি-তে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ ২০২৫) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় নাট্য সমিতির সম্মুখ সড়কে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন কর্মসূচী পালন করা হয়। এরপর দিনাজপুর জেলা শাখা নাট্য সমিতিতে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ দিনাজপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি মাহবুবা খাতুন এর সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সহ-সাধারণ সম্পাদক রুবি আফরোজ।
তিনি বলেন, ২৫শে মার্চ ইতিহাসের এক কলঙ্কময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী বাঙালী জাতির বিরুদ্ধে গণহত্যা শুরু করেছিল। এদিন তারা রাতের আঁধারে ট্যাংক-কামান-মেশিনগান নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল নিরীহ-নিরস্ত্র বাঙালির উপর। নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিল বাঙালী জাতির অস্তিত্ব। পৃথিবীর ইতিহাস এত অল্প সময়ে এত বেশিসংখ্যাক মানুষ হত্যার ঘটনা দ্বিতীয়টি নেই। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি চায়। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে হাজার হাজার বাঙালীকে হত্যা ও নির্যাতন করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। কিন্তু এ গণহত্যার কোনো আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি মেলেনি আজও। ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির দাবী জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। তিনি আরও বলেন বাঙালির মুক্তির আন্দোলনের শ্বাসরোধ করতে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে এ দেশের নিরস্ত্র মানুষের উপর ঝাঁপিয়ে পরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। “অপারেশন সার্চলাইট” নামের সেই কালরাতের প্রথম প্রহরে ঢাকায় চালানো হয় গণহত্যা। পাকিস্তানি বাহিনীর সেই নৃশংসতার পর রুখে দাঁড়িয়েছিল বাঙালি, স্বাধীনতার জন্য শুরু হয়েছিল সশস্ত্র সংগ্রাম। নয় মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর এসেছিল স্বাধীনতা।
উক্ত আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি কানিজ রহমান, জেলা শাখার সহ-সভাপতি রত্না মিত্র, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা পলি, প্রচার সম্পাদক শুক্লা কুন্ডু, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক কৃষ্ণা প্রিয়া মুর্মু, সদস্য শিবানী উড়াওসহ জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ ও পাড়া-কমিটির সদস্যবৃন্দ।