আনোয়ারা-কর্ণফুলীতে হাতি অপসারণের দাবিতে সড়ক অবরোধ, সেনাবাহিনীর আস্বস্তে দীর্ঘ ৫ ঘন্টা পর যান চলাচল স্বাভাবিক

কর্ণফুলী প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের আনেয়ারা -কর্ণফুলীতে বন্যহাতি আক্রমণের প্রতিরোধে স্হায়ী সমাধানের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন আনোয়ারা -কর্ণফুলী জনসাধারণ
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) ভোর ছয়টা থেকে কর্ণফুলী উপজেলার কেপিজেড দৌলতপুর স্কুল এলাকায় পিএবি সড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় বিক্ষোভকারীদের
এর আগে গত শনিবার (২২ মার্চ) হাতির আক্রমণে ৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হলে ওইদিন ভোর থেকে সড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। যদিও দীর্ঘ ৬ ঘন্টা আন্দোলনের পর ৪ দিনের সময় নেয় প্রশাসন।
কর্ণফুলীতে হাতির তান্ডব প্রসঙ্গে ৪ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় ভোর থেকে আনোয়ারা -বাঁশখালী -কর্ণফুলী (পিএবি)সড়ক অবোধ করে বিক্ষোভ করছেন স্হানীয়রা,এতে সৃষ্টি হয় দীর্ঘ যানজট। এই সময় কেপিজেডের হাজার হাজার কর্মচারীসহ সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়েন, চাকরিজীবি ছাড়াও আটকা পড়েছে বিভিন্ন খাদ্য পণ্যের গাড়িও। এদিকে বিক্ষোভকারীদের দাবি হাতির বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসন (চার) ৪দিনের সময় নিয়েও তারা কোনো সুরাহা করতে না পারায় তারা আবারও আন্দোলনে নেমেছেন এবং হাতির বিষয়টির স্থায়ী কোনো সমাধান না আসা পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
আন্দোলনকারীরা কর্ণফুলীর দৌলতপুর স্কুল এলাকা পিএবি সড়কসহ কেইপিজেডের বিভিন্ন ফটক ও পয়েন্টে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়।
বেলা ১১টা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েন সড়কগুলো দিয়ে চলাচলকারী শ্রমিক ও সাধারণ যাত্রীরা। দক্ষিণ চট্টগ্রামের আনোয়ারা, বাঁশখালী, পেকুয়া, চন্দনাইশ যাতায়াত করা যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন।
এদিকে আজ বেলা ১১টার দিকে পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য কাজ শুরু করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সেনাবাহিনীর সুরহার আস্বস্ত করার পর অবরোধকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। দীর্ঘ পাঁচ ঘন্টার পর যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছেন, ঈদের পর বন বিভাগসহ কেইপিজেড কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসে এই এলাকা থেকে হাতি সরিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। সেই আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা কর্মসূচি স্থগিত করেছেন।
উল্লেখ্য, প্রায় সাত বছর ধরে পাঁচটি হাতি এই এলাকায় অবস্থান করছে। এরা দিনে জঙ্গলে থাকলেও রাতে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে হানা দিচ্ছে। রাতভর তাণ্ডব চালিয়ে ভোরের আলো ফুটতেই এরা জঙ্গলে চলে যায়। সম্প্রতি হাতির আক্রমণে প্রাণ হারিয়েছে বেশ কয়েকজন। প্রথম আলোর এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী গত ৬ বছরে হাতির আক্রমণে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীতে ১৯ জন মারা যায়।