রায়পুরে মিথ্যা মামলায় দিয়ে হয়রানির অভিযোগ

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরে রায়পুরে ৯নং চর আবাবিল ৭নং ওয়ার্ডে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন সুশীল মজুমদার (৬৫) তিনি দাবি করেছেন, প্রতিপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে ভিত্তিহীন মামলা দিয়ে তাকে সামাজিক ও মানসিকভাবে হয়রানি করছে।
ভুক্তভোগী সুশীল মজুমদার বলেন, “আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ। প্রতিপক্ষ ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, আমাদের বাড়ির পুকুর ইজারাদার দেওয়ার পর, ইজারাদার সাথে ১৫০ টাকা স্টাম্পের চুক্তি হয় যে, পুকুরের চারপাশে যে গাছগুলো থাকবে, সবগুলো গাছের ডাল কেটে নেবে ।
ইজারাদার গাছের ডাল কাটার পর প্রীতম মজুমদার পলাশ আমার সাথে আসি অযথা তর্ক বিতর্ক লিপ্ত হয় , পলাশ আমাকে মারতে আসলে আমার ছেলে এসে আমাদের দুজনকে দুই দিকে ধাক্কা দেয়, প্রীতম মজুমদার পলাশ বিল্ডিং সাথে ধাক্কা খেয়ে মাথা ফেটে যায়, কিন্তু প্রীতম মজুমদার পলাশ বলতেছে আমি আর আমার ছেলে নাকি তাকে লাঠি দিয়ে মাথা আঘাত করি,যা সম্পূর্ণ মিথ্যায় ও বৃত্তিহীন।
আমরা বাড়িতে ৩০ পরিবারের মধ্যে ২৯ পরিবারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু প্রীতম মজুমদার পলাশের সাথে বাড়ির কারো ও ভালো সম্পর্ক নাই।
প্রত্যক্ষদর্শী গীতা রানী মজুমদার বলেন, আমি বাড়িতে চিৎকার শুনে যাই দেখি, দুজন দুজনকে মন্দ কথা বলতেছে, প্রীতম মজুমদার পলাশ অংশুমানকে হাতে লাঠি দিয়ে আঘাত করলে অংশুমান প্রীতম মজুমদার পলাশের শার্টের কলার ধরে ,তখন দুজনে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। অংশুমান এসে দুইজনরে দুই দিকে ধাক্কা দিলে প্রীতম মজুমদার পলাশ ওয়ালার সাথে মাথায় আঘাত পায়।
পুতুল রানী বলেন, আমরা দেখি তারা দুইজন ধস্তাধস্তি করতেছে , অংশুমান এসে সুশীল ও পলাশকে দুটি ধাক্কা দিলে প্রীতম মজুমদার পলাশ ওয়ালের সাথে বাড়ি লাগে মাথা ফেটে যায় ।
মরণ মজুমদার বলেন, প্রীতম মজুমদার পলাশ একজন ভূমি অফিসের কর্মচারী হয়ে এলাকা প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন কর্ম করে যাচ্ছে, তার সাথে আমাদের বাড়ির কারো কোনো সম্পর্ক নেই। পলাশ মিথ্যা মামলা দিয়ে অংশুমান ও সুশীল মজুমদারসহ অনেকের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করতেছে।
ভুক্তভোগী সুশীল মজুমদার বিচারপ্রার্থী হয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নিরপেক্ষ তদন্ত ও সুবিচারের দাবি জানিয়েছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দ্রুত সঠিক তদন্তের মাধ্যমে তার নামে দায়ের করা মিথ্যা মামলা খারিজ হবে এবং তিনি ন্যায়বিচার পাবেন।
এ বিষয়ে আরও তথ্যের জন্য প্রীতম মজুমদার পলাশের বাড়ি গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।