ফেনীর ফুলগাজীতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়াই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম।

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ছাড়াই এক বছরের বেশি সময় ধরে চলছে ফুলগাজী উপজেলার শিক্ষা কার্যক্রম।সর্বশেষ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃএনামুল হক জানান,তিনি অবসরে(পিআরএল)গিয়েছেন ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি।২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে মোঃ এনামুল হক পেনশনভোগী হিসেবে রয়েছেন।উপজেলার একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃমোয়াজ্জেম হোসেন ২৯ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিদর্শনসহ কার্যক্রমে ছোটাছুটি করলেও এই শিক্ষা দফতরের অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছে ফেনী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃশফী উল্লাহ।ফুলগাজীর শিক্ষা দপ্তরে আরও কর্মরত রয়েছেন হিসাব রক্ষক আইনুল হক,অফিস সহকারী কাম ডাটা এন্ট্রি অপারেটর মোঃহারুন ও অফিস সহায়ক জাকির হোসেন।এই উপজেলায় ২২টি মাধ্যমিক স্কুল ও ৭৭ টি মাদ্রাসা মাদ্রা রয়েছে।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা না থাকায় ফুলগাজী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃমহি উদ্দিন জানান,শিক্ষা কর্মকর্তা থাকলে শিক্ষা দপ্তরের অন্য কর্মকর্তার উপর অর্পিত কাজের চাপ যেমন কমতো তেমনি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মান আরো বৃদ্ধি হতো।মুন্সীরহাট আলী আজম স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোঃআবু তাহের মজুমদার বলেন,শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের পাশাপাশি শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল হতো।উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মোঃমোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার পরে ফেনী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নির্দেশনায় অর্পিত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পদায়নের উপর গুরুত্বারোপ করেন একাডেমিক সুপারভাইজার।ফেনীর ফুলগাজীতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অবসরে যাওয়ার এক বছরেও নতুন করে পদায়ন না হওয়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন নিজেই করছেন বলে জানান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃশফী উল্লাহ।ফেনী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃশফী উল্লাহ বলেন,কিছুদিন পূর্বেও দাপ্তরিক সভা করে ফুলগাজী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিয়োগের বিষয়ে নতুন পদায়ন বা নিয়োগ প্রদানে সুপারিশ করা হয়েছে।জানা গেছে,নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ থাকায় উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর দেখ ভাল করতে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে।শিক্ষার মান উন্নয়নে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই শুন্যপদে পদায়ন করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অবহিত করা হয়েছে বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।