ফেনী আলিয়ার অধ্যক্ষের কাছ থেকে ৩ লাখ টাকা নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কার জামাআত নেতা।

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
ফেনী আলিয়া কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদ থেকে সাময়িক বহিস্কার হওয়া মাহমুদুল হাসান স্বপদে ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ছাত্র সমন্বয়ক এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদের কেও টাকার বিনিময়ে তিনি ম্যানেজ করার তথ্য মিলছে।তাকে স্বপদে ফিরিয়ে আনার আশ্বাস দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে সুযোগ সন্ধানীরা।ইতিমধ্যে বহিস্কৃত এক ছাত্র সমন্বয়কের সঙ্গে মোবাইল ফোনে মাহমুদুল হাসানের চাঁদা লেনদেনের কথোপকথনের অডিও রেকর্ড ফাঁস হওয়ার রেশ না কাটতে আরেকটি অডিও রেকর্ড বেরিয়েছে।ওই রেকর্ডে তিনি জাকির হোসেন নামে থানা-পুলিশের এক দালালকে তিন লাখ টাকা দেয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার কথা বলে দুই দফায় যথাক্রমে এক লাখ ও দুই লাখ করে তাকে তিন লাখ টাকা দিয়েছেন মাহমুদুল হাসান।এরপর আরো টাকা চেয়ে ২ মিনিট ২৭ সেকেন্ডের কথোপকথনের অডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।ওই রেকর্ডে শোনা যায়,থানার ওসি ও জনৈক সমিরের কথা বলে ওই ব্যক্তিকে ইতিপূর্বে দুই দফায় তিন লাখ টাকা দেয়া হয়।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া রেকর্ডের ব্যক্তিটি জাকির হোসেন নামে অনেকে নিশ্চিত করেছেন।তিনি পেশায় ব্যবসায়ী হলেও জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় বলেও জানায় বিভিন্ন সূত্র।তাকে বিভিন্নসময় জামায়াতের সভা-সমাবেশে সরব দেখা যায়।এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জেলা জামায়াত ইসলামীর প্রচার সম্পাদক আ ন ম আবদুর রহীম বলেন,অনৈতিক কাজে জড়িত হওয়ায় জামায়াতে ইসলামী থেকে জাকির হোসেনকে ১০ ফেব্রুয়ারি বহিস্কার করা হয়েছে।অধ্যক্ষের সঙ্গে কথোপকথনের বিষয়টি জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে জাকির হোসেন এর মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।এর আগে মাহমুদুল হাসানের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগে ছাত্রপ্রতিনিধি ওমর ফারুক শুভ কারাগারে রয়েছেন।