কসবায় স্ত্রী শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে।

কাউছার আহমেদ টিপু।ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর প্রতিনিধি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কসবায় স্ত্রী ও শ্যালিকাকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে। রোববার (২ মার্চ) রাতে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের ধ্জানগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন ধ্জানগর গ্রামের মৃত রৌশন মিয়ার মেয়ে জোতি আক্তার ও স্মৃতি আক্তার। নিহত জোতি আক্তারের স্বামী ছামিউল ইসলাম ঘটনার পর থেকে পলাতক। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। দুই বোন হত্যার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
নিহতদের আত্মীয়-স্বজন বলেন, দেড় বছর আগে পাশ্ববর্তী ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জামতলী গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ছামিউল ইসলামের সাথে জোতি আক্তারের পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে স্বামীর বাড়িতে মানসিক নির্যাতনের শিকার ছিলো। এক মাস আগে জোতি স্বামীসহ বাপের বাড়ি বেড়াতে আসে। স্বামী কয়েকদিন থেকে জোতিকে বাবার বাড়ি রেখে চলে যায়। এক সপ্তাহ আগে জোতির স্বামী ছামিউল ইসলাম আবারও শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার সকালে ছোট ভাই জাহিদ মিয়া ঘুম থেকে উঠে বড় দুই বোনকে ঘুম থেকে উঠতে ডাক দেয়। তাদের কোনো সাড়া না পেয়ে জাহিদ চাচীকে ডেকে নিয়ে আসে। চাচী এসে দেখতে পাই খাটের উপর দুই বোনের নিথর দেহ পড়ে আছে। তাদের নাক-মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। তাদের ঘরের আলমারি খোলা । আলমারিতে থাকা অলংকার ও টাকা-পয়সা নিয়ে পালিয়ে গেছে ছামিউল। তাদের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশিরাও ছুটে এসে দেখতে পায় কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখা দুই বোনের মৃতদেহ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
নিহতদের ছোট ভাই জাহিদ মিয়া জানান, তার দুলাভাই দুই বোনকে হত্যা করে আলমারি থেকে টাকা, অলংকার, মোবাইল ও তার দুই বোনের কান ও গলায় থাকা অলংকারও নিয়ে পালিয়ে গেছে। বোনদের হারিয়ে একপ্রকার বাকরুদ্ধ। সে এই হত্যার বিচার চায়।