মিথ্যা মামলা প্রত্যহার ও আদালতের ন্যায় বিচার না পাওয়ায় মানববন্ধন

মো.জায়েদ হোসেন,দশমিনা(পটুয়াখালী)প্রতিনি ধি
পটুয়াখালী দশমিনায় মিথ্যা মামলা প্রত্যহার ও বর্বরচিত সন্ত্রাসী হামলায় ন্যায় বিচার না পাওয়ায় বুধবার সকাল ১১ টায় উপজেলার সামনের সড়কে মানববন্ধন করা হয়।
মানববন্ধনে মাধ্যমে বর্বরচিত হামলায় গুরুত্বর আহত হেলাল মুন্সিরর পরিবার ও এলাকাবাসি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
জানা যায় উপজেলার বেতাগীসানকিপুর ইউনিয়নের বড়গোপালদী গ্রামে গত বধবার( ৮ জানুয়ারি) দুপুর ১২ ঘটিকায় হেলাল মুন্সির ভোগ দখলী সম্পত্তি সামছু মোল্লা(৩৫), বাচ্চু মোল্লা(৩০), কামাল(৩২), মামুন(২৭) রাসেল(২০) সহ ১০-১২ জন জোরপূর্বক দখল করতে গেলে হেলাল মুন্সি তার স্ত্রী তহমিনা, ছেলে মাহিন বাঁধা দেয়। বাঁধা দেয়ার করনে সামছু মোল্লা গং দেশীয় অস্ত্র সহ হেলাল মুন্সি ও তার পরিবারের উপর বর্বরচিত সন্ত্রাসী হামলা করে হেলাল মুন্সিকে বাম পা ভেঙে দেয় মাথায় কোপ দেয় তার স্ত্রী তহমিনাকে বাম পা ভেঙে দেয় এবং পিটায় তার ছেলে মাহিনকে কোপায়। এ ঘটনায় হেলার মুন্সি, তার ন্ত্রী ও ছেলে দির্ঘদিন চিকিৎসা শেষে দশমিনা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে গত রবিবার (২৬ জানুয়ারি) হেলাল মুন্সি বাদী হয়ে সামছু মোল্লা সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালতের বিচারক ৩ দিন পর আদেশ দেন ওসি দশমিনা থানা তদন্ত প্রতিবেদন দিবেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে হেলার মুন্সি সহ এলাকার লোকজন হতাশা প্রকাশ করে। একই ঘটনায় সামছু মোল্লার স্ত্রী আলমতাজ বেগম বাদী হয়ে হেলাল মুন্সি সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দশমিনা থানায় এজার দায়ের করেন(জিআর-১২/২৫)। উক্ত মামলায় হেলাল মুন্সি তার স্ত্রী ও ছেলে গত সোমবার(১৭ ফেব্রুয়ারি ) আদলতে হাজির হয়ে জামিন পান।
মানববন্ধনে এলাকাবাসির পক্ষে মোস্তফিজ মুন্সি বলেন এটি একটি আলোচিত ও বর্বরচিত হামলা। একই পরিবারের ৪ জন গুরুত্বর হাড় ভাঙ্গা জখম। আদালতের বিচারক প্রত্যক্ষ ভিকটিমদের দেখে যে আদেশ দিয়েছেন তা ভিকটিম ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে মনে করি। আমরা ন্যাবিচারের জন্য উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চাই এবং ভিকটিমদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যহারের দাবি জানাই।
মানবববন্ধনে হেলাল মুন্সি বলেন আমার ভোগ দখলি সম্পত্তি দখল কারা জন্য সামছু মোল্লা সহ তার দলবল যায় আমি বাঁধা দিলে আমাকে আমার স্ত্রী ও সন্তানকে কোপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে এবং আমার আর আমার স্ত্রীর পা ভেঙে দেয় আমারা চিকিৎসা শেষে আদালতে মামলা করি(সিআর-৩৭/২৫) বিচারক প্রত্যক্ষ দেখে এজারহারের জন্য থানায় না দিয়ে তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য আদেশ দেয়ায় আমরা মনে করি আইনের সঠিক বিচার পাইনি আমাদের উপর আন্যায় করা হয়েছে। আমাদের উপর বর্বরচিত সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানাই।
আহত হেলাল মুন্সির স্ত্রী তহমিনা বলেন দেশে কি আইন আদলত নাই আমরা গরিব বলে ন্যায় বিচার পাবোনা। আদালতে মামলা করারর পর চলেযাই। আদালতের বিচারক তিনদিন পর আমাদের আবার ডেকে এনে দেখে কোন কতা না শুনে তার নিজের মতো আদেশ দিয়েছে। আমার স্বামীকে মাতায় কুপিয়েছে, পা ভেঙেছে, আমার পা ভেঙেছে। ওই ঘটনায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার স্বামী ব্রেনস্টোক করেন । আজ সে শারীরিক ভাবে অসুস্থ। আইনের সহযোগিতা না পেলে আমার কোথায় যাবো। আমি মনে করি আইন আদালত আমাদের জন্য নয় আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত। আমরা এর সঠিক বিচার চাই।