অভিযানের অজুহাতে ইটের দাম বৃদ্ধি,ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী ঠিকাদার ও নির্মাণ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
ফেনীর ফুলগাজীতে অবৈধ ইটভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানের পর প্রতি হাজার ইটের দাম ২ থেকে ৩ হাজার টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে ইটভাটা মালিকরা।এমন অভিযোগ করছেন ঠিকাদার ও ক্রেতারা।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,পরিবেশ অধিদপ্তরেরর ছাড়পত্র না থাকায় বন্ধ করা হলেও স্থানীয় প্রভাবশালী ইটভাটা মালিকদের যোগসাজশে ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ না করে অভিযানের পরপরই ইটের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায়,প্রতিটি ইটভাটায় ৫০ থেকে ৮০ লাখ ইটর মজুদ রয়েছে। অভিযানের আগে প্রতি হাজার ইট বিক্রি করা হত ১১ হাজার টাকায়।কিন্তু অভিযানের পরপর প্রতি হাজার ইটের দাম ২ থেকে ৩ হাজার বাড়ানো হয়েছে, এই থেকে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ইটভাটা মালিকরা।গত ২৬ ফেব্রুয়ারি রমজান উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসনের প্রস্তুতি সভায় অভিযানের ফলে ইটের দাম বৃদ্ধির অভিযোগ উত্থাপন করেন উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ও নির্মাণ সামগ্রী প্রতিষ্ঠানের মালিক ফরিদ আহমেদ ভুঞা।তিনি বলেন,আগের মজুদ করা ইটের দাম বাড়ানোয় বিপাকে পড়েছেন নির্মাণ সংশ্লিষ্টরা।একই অভিযোগ করে এলাহি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ইয়াকুব আলী বাবুল জানান, ঠিকাদারি কাজে প্রতি হাজার ইটের দাম ১১ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।কিন্তু ফুলগাজীতে প্রতি হাজার ইট ১৪ হাজার টাকায় কিনতে হলে উন্নয়ন কাজ শেষ করা দুরূহ হয়ে যাবে।অভিযোগ প্রসঙ্গে ফুলগাজী উপজেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম বলেন,গত বছরের কাঁচামালের সাথে সমন্বয় করে ইটের দাম ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা বাড়ানো হয়েছে।মঙ্গলবার(৪ মার্চ) দুপুরে ইটভাটায় অভিযান বন্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) তানিয়া ভূইয়ার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন ইটভাটা মালিকরা।পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,গত ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলগাজীতে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ ও ২৮ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ফেনীর সহকারী পরিচালক মোঃআছাদুল ইসলাম জানান,যেসকল পণ্যের দাম নির্ধারিত থাকে সেখানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের জন্য অভিযান পরিচালনা করা হয়।