সারাদেশ

টাঙ্গাইলে আলোচিত ফারুক হত্যার আসামি খান পরিবারের চার ভাই ‘খালাস’

খায়রুল খন্দকার টাঙ্গাইল :টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদকে হত্যার ঘটনায় খান পরিবারের চার ছেলেসহ ১০ জনকে খালাস দিয়েছে আদালত; যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে দুইজনের।
রোববার(২ জানুয়ারি) বেলা তিনটার সময় টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মাহমুদুল হাসান আলোচিত এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন।
আসামিদের মধ্যে কেবল সহিদুর রহমান খান মুক্তি রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন। অন্য একটি মামলায় গ্রেপ্তার টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক এ মেয়রকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কবির হোসেন ও মোহাম্মদ আলী।
খান পরিবারের খালাস পাওয়ারা হলেন- আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও সানিয়াত খান বাপ্পা। এছাড়া মাসুদুর রহমান, ফরিদ হোসেন, নাসির উদ্দিন নুরু, আলমগীর হোসেন চাঁন, ছানোয়ার হোসেন ও দারোয়ান বাবু ওরফে দাঁত ভাঙা বাবু খালাস পেয়েছেন। এর বাইরে আনিসুল ইসলাম রাজা ও সমির মিয়া বিচার চলাকালে মারা যান।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি টাঙ্গাইল শহরে আওয়ামী লীগের টাঙ্গাইল জেলা কমিটির সদস্য ফারুককে তার বাসার সামনে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। তিন দিন পর ফারুকের স্ত্রী নাহার টাঙ্গাইল মডেল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।
পরে নাহার সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন, ফারুক জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। সেজন্যই তাকে হত্যা করা হয় এবং টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাই ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত।
রানাদের চাচা শামসুর রহমান খান শাহজাহান আওয়ামী লীগের নেতা ও সংসদ সদস্য ছিলেন। তার মৃত্যুর পর ভাতিজারা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে আসেন।
মামলার তদন্ত চলাকালে খান পরিবারের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত আনিসুল ইসলাম রাজা এবং মোহাম্মদ আলী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সেখানে রানাদের চার ভাইকে জড়িয়ে বক্তব্য দেন তারা।
হত্যাকাণ্ডের তিন বছর বাদে ২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। সেখানে রানা ও তার তিন ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করা হয়।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদের প্রার্থিতা থেকে সরে যেতে রাজি না হওয়ায় সাংসদ রানার সহযোগী কবির হোসেন পিস্তল দিয়ে ফারুক আহমদকে গুলি করেন। পরে সাংসদের নির্দেশে আনিছুল, মোহাম্মদ আলী, আবদুল হক, সমির ও কবির লাশ নিয়ে ফারুকের বাসার সামনে ফেলে রেখে আসেন।
২০১২ সালের ১৮ নভেম্বর উপনির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সাংসদ নির্বাচিত হন আমানুর রহমান খান রানা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার পার তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
রানা এক সময় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর তাদের চার ভাইকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা আওয়ামী লীগ।

You may also like

সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,
সারাদেশ

আইনপুর গ্রামে পরিতোষ , সন্তোষ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ঘটনা ঘটে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আইনপুর গ্রামের পরিতোষ সূত্রধর ও সন্তোষ সূত্রধর বাড়িতে আগুনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ০৭/০৮/২৪ ইং