সারাদেশ

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের আবারও ধস

হাবিবুর রহমান, চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর রক্ষা প্রকল্পের পিচিংয়ের নিচে ব্লক ডাম্পিংয়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদীর পাড়ের মানুষরা। উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের, ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকার ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের পিচিংয়ের নীচে ডাম্পিং করার স্থানে দুই জায়গায় প্রায় ৪শ মিটার এলাকা ভেঙে গেছে। প্রায় ২সপ্তাহের মাথায় দুই জায়গায় ভাঙনকে ঘিরে ঐ এলাকার মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।  তার পরেও কর্তৃপক্ষের কোন সারা নেই বলে তাদের অভিযোগ।
জানাগেছে, ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাস থেকে চিলমারীকে রক্ষার জন্য ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের মাধ্যমে, নদের ডানতীর ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ রাস্তাটি ব্লক পিচিং করা হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকা থেকে রমনা ইউনিয়নের জোড়গাছহাট বাজার পর্যন্ত কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। পরবর্তীতে কয়েক দফা পিচিংয়ে ধস দেখা দিলে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্বাবধানে তা মেরামত করা হয়। সম্প্রতি উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট ঘাটের দক্ষিণে জকরিটারী এলাকায় ব্লক পিছিংয়ের নিচে প্রায় ৩/৪ মিটার জায়গা নদীতে ভেঙে গেছে। দুই সপ্তাহ আগে তার উত্তরে প্রায় দেড়শ মিটার জায়গা ভাঙাসহ দুই  স্থানে প্রায় ৩শ মিটার জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছিল। অপরদিকে গত একমাস আগে উপজেলার রমনাঘাট (চিলমারী বন্দর) থেকে দক্ষিণে সোনারী পাড়া এলাকার দৌলা মিয়ার বাড়ী হতে টোনগ্রাম জামে মসজিদ যাওয়া পর্যন্ত প্রায় ৪শ মিটার এলাকায় ডানতীর ব্লক পিচিংয়ের নিচে ডাম্পির করা ব্লকের ধস দেখা দিয়েছিল। এক মাসের ব্যবধানে ৩জায়গায় পিচিং ব্লকের ভাঙন দেখা দেয়ায় চরম ভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নদী ভাঙ্গনের শিকার হওয়া নদীর তীরবর্তী এলাকার মানুষরা। সরেজমিনে শনিবার বিকেলে ফকিরেরহাট জকরিটারী এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সেখানে প্রায় ২/৩ মিটার জায়গা ব্লকসহ নদীতে ভেঙে গেছে। তার ঠিক ২০০ফুট উত্তরে দুই সপ্তাহ আগে আরও ১/২ মিটার নদীতে ভেঙে যায়। এসময় ওই এলাকার আঃ মজিদ, মফিজক হক, মজির উদ্দিন, গয়ছুদ্দিন ও নাসির মাষ্টারসহ অনেকে জানান, দুই সপ্তাহ আগে একদিন রাত ২টার দিকে নদী ভাঙনের শব্দ শুনে বের হয়ে দেখি ব্লক পিচিংসহ মাটি নদীতে ভেঙে যাচ্ছে। আজ শনিবার দিনের বেলায় একইভাবে পাশ্বে আবার ভাঙন দেখা দেয়। তারা জানান, ভাঙন দেখা দেয়ার ২সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নিতে  দেখা যায়নি। এখনই এটি সংস্কারের উদ্যোগ না নিলে চৈত্রী মাসের ঢলে ডানতীর ছুটে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসীরা। জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন তারা।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড কুড়িগ্রামের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আব্দুল কাদের এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, উপ-সহকারী প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে বিষয়টির খোঁজ নেয়া হবে। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, ফকিরেরহাট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছি। ফকিরেরহাট এবং রমনা ঘাট দুই এলাকার ভাঙন সম্পর্কে জেলা সমন্বয় সভায় কথা বলেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসক এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি ।

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You may also like

সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,
সারাদেশ

আইনপুর গ্রামে পরিতোষ , সন্তোষ বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডে দুর্ঘটনা ঘটে

মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আইনপুর গ্রামের পরিতোষ সূত্রধর ও সন্তোষ সূত্রধর বাড়িতে আগুনে দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার ০৭/০৮/২৪ ইং