কেন্দুয়ায় দিনদুপুরে কাঁচাপাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা

ডেস্ক রিপোর্ট: কেন্দুয়া উপজেলাধীন মৌজার প্রায় আশি বছরের ভোগদখল সত্ত্বের পৈতৃক জমির কাঁচাপাকা ধান দিনদুপুরে কেটে নিয়ে গেছে সসস্ত্র দূর্বৃত্তরা। নেত্রকোণা সদর উপজেলার বাসিন্দা ফারজানা আক্তার জহুরা (৩০) জমির মালিক পরিবারের একাধিক সদস্যের পক্ষে কেন্দুয়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
অভিযুক্তরা হলেন, মৃত আবুল হোসেনের দুই ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪৫) ও হাবিবুর রহমান (৫০) এবং তাদের সহযোগী অজ্ঞাত দূর্বৃত্ত।
১৪ এপ্রিল (সোমবার) আনুমানিক দুপুর সাড়ে বারোটায় বাড়ির অদূরের ধনিয়াচাপুর বিলের বাদীর পরিবারের জমির আধাকাঁচা ফসল তসরুফ করে নিয়ে যায় সাইফুল ও হাবিবুরসহ তাদের সহযোগীরা।
স্থানীয়রা জানান, এটি বাদীদের পুরনো পৈতৃক জমি।পরিবারের ছেলে-মেয়ে সন্তানরা সবাই এর অংশীদার। সবাই মিলে দীর্ঘদিন ধরে বর্গা দিয়ে চাষবাস করান। ওইদিন ঘটনার সময় বাড়িতে থাকা থাকা দুই-তিনজন নারীপুরুষ চিৎকার চেঁচামেচি করলেও দূর্বৃত্তরা অস্ত্রসস্ত্রের মাধ্যমে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে ফসল কেটে নিয়ে যায়।জীবনের ভয়ে তারা দূর্বৃত্তদের প্রতিহত করতে পারেননি।
এ ব্যাপারে থানায় ফারজানা আক্তার জহুরার লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ ১৫ এপ্রিল বিকেলে সরেজমিন তদন্ত করে রাত ১২ টার পর অর্থাৎ ১৬ এপ্রিল মামলা রেকর্ড করেন।মামলা নম্বর-১৩।
কেন্দুয়া থানার ওসি মোঃ মিজানুর রহমান জানান,অজ্ঞাত তিনজনসহ সাইফুল ইসলাম ও হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রজু করা হয়েছে।
ঘটনার পর এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত আসামীরা মনের আনন্দে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং আরও অপকর্মের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করে জানান, বাদী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আসামী গ্রেফতার প্রসঙ্গে ওসির বক্তব্য, “গ্রেফতারের চেষ্টা করবো।”এখন পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করে নিরবতা পালন করছেন বলে ভুক্তভোগী পরিবার জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, রহস্যজনক কি এমন অদৃশ্য কারণে আসামীদের এখনো গ্রেফতার করছেন না- তা আমাদের বোধগম্য নয়। পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে সাধারণ মানুষের জীবন ও জীবিকা যে অনিশ্চিত হয়ে যায় তা আমরা হাড়েহাড়ে টের পাচ্ছি। বাদী পরিবারের সদস্যরা বলেন, দেশের পরিবর্তনের পরও পুলিশ বিভাগ যথাযথ ভূমিকা পালন না করে পুরনো দিনেই ফিরে যাবে? আইনের শাসন তাহলে আজও পাওয়া যাবে না বলে প্রশ্ন রাখেন।
অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করার কারণে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।