চলনবিলে তাপমাত্রা ১১ ডিগ্রি, বিপাকে মধুচাষিরা

জুয়েল রানা, সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
সিরাজগঞ্জের চলনবিলে গত তিন দিন ধরে তীব্র শীতে মারা যাচ্ছে মৌমাছি। এতে বিপাকে পড়েছেন মধুচাষিরা।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় চলনবিল অঞ্চলে গড় তাপমাত্রা ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। পাশাপাশি এ সময়ে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।মৌচাষিরা জানান, পূর্ণ বা পরিণত মৌমাছির তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতা ১০ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত। অপরিণত মৌমাছির লার্ভা বা শূককীটের ঠান্ডা-শীত সহ্য ক্ষমতা একেবারে কম। শীতকালে কৌশলে মৌচাকের তাপমাত্রা সহনীয় রাখে মৌমাছি। কিন্তু পৌষের এ সময়ে এর ব্যত্যয় ঘটছে। ফলে মৌচাক বা মৌ বাক্সের ভেতরের তাপমাত্রা কমেছে। এ কারণে ঠান্ডায় মারা যাচ্ছে বিপুল সংখ্যক মৌমাছি।
বর্তমানে চলনবিলে তাড়াশের ২০ জন,
গুরুদাসপুরের ৫০ জন, সিংড়ার ১৮ জনসহ ১০ উপজেলার শতাধিক মৌচাষি মধু সংগ্রহ করছেন। এর সঙ্গে রয়েছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়াসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের আরও তিন থেকে সাড়ে ৩০০ মৌচাষি।
স্থানীয়রা জানান, টানা তিন দিন উত্তরের হিমেল হাওয়ার সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে কনকনে ঠান্ডা। তাড়াশের কুন্দইল গ্রামে মাঠে মধু সংগ্রহ করতে আসা চাষি দুবল দাস জানান, শীতের সময় মৌমাছি চাক বা বাক্স থেকে বের হয় না। তার পরও যেগুলো বের হচ্ছে, সেগুলো বেশির ভাগ বাঁচতে পারছে না। সাতক্ষীরা থেকে মধু সংগ্রহ করতে আসা চাষি আমিনুল ইসলাম জানান, ২০০ থেকে ৪০০ চাক কেটে মধু সংগ্রহ করার পর ১০০ থেকে ১৫০ মৌমাছি মারা যাচ্ছে।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘তীব্র শীতে গাছ বা বাক্সের মৌচাক কেটে মধু সংগ্রহ করা যাবে না। এতে মৌমাছির মৃত্যুহার কমবে।’