ইবিতে ফরিদপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতির পুনর্মিলনী, নবীন বরণ ও প্রবীণ বিদায়

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফরিদপুর জেলা থেকে আগত শিক্ষার্থীদের সংগঠন ফরিদপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতির নবীনবরণ ও প্রবীণ বিদায় অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (৯ আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে (টিএসসিসি) এ আয়োজন করা হয়।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম আলিফের সভাপতিত্বে এবং খায়রুজ্জামান খান সানি ও আয়েশা সিদ্দিকা মিষ্টির যৌথ সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ; বিশেষ অতিথি ছিলেন উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রোকসানা মিলি, লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. অধ্যাপক ড. মো. এ কে এম মতিনূর রহমান, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল। এছাড়া অতিথি ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা আঃ হান্নান, প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি কামরুল হাসান, ইসলামী ফাউন্ডেশন ফরিদপুর শাখার ডেপুটি ডিরেক্টর মোঃ ইয়াসিন মিয়া, বিশ্ব জাকের মঞ্জিল কামিল মাদ্রাসার প্রভাষক ড. মোঃ লুৎফর রহমান, বিজেআইটি লিমিটেডের লিড সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর দেবাশীষ ভট্টাচার্য, সাবেক সভাপতি অ্যাডঃ মোস্তফা জামান উজ্জ্বল, মোঃ মনিরুল ইসলাম, শহিদ আলম জাহিদ, এনামুল হক সুমন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাবেক সহ-সভাপতি কাজী রাকিবুল ইসলাম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতি সাইফুল ইসলাম আলিফ বলেন, “বৃহত্তর ফরিদপুর ছাত্রকল্যাণ সমিতি একটি যৌথ পরিবার। আজকের আয়োজনে বৃহত্তর ফরিদপুর(ফরিদপুর, মাদারীপুর,গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর) জেলার প্রবীণ ও নবীন শিক্ষার্থীদের মাঝে সেতু বন্ধন তৈরি হলো। এই সম্পের্কের মাধ্যমে আমরা একে অপরের সাথে সংযোগ থেকে যেকোনো বিষয় শেয়ার করতে পারবো, পরস্পর সাহায্য সহযোগিতা করতে পারব, একজনের বিপদে আরেকজন পাশে দাঁড়াতে পারবো। আশা করছি এই পরিবারের সদস্যরা তাদের পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রেখে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।”
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “তোমরা যারা পড়াশোনা শেষ করলে এটা মূলত একাডেমিক পড়াশোনা শেষ করলে, কিন্তু এটাই শেষ নয়। তুমি চাইলে বাইরের দেশে গিয়েও এখন পড়াশোনা করতে পারো। তবে এগুলোই যথেষ্ট নয়, প্রফেশনকে সামনে রেখেও পড়াশোনা করতে হবে। প্রফেশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য নিজেরাই উদ্যোগ নিতে হবে। তোমাদের যোগ্যতা যত বাড়াবে এবং যত বড় জায়গায় যাবে ততো বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বাড়বে। বিশ্ববিদ্যালয় যেমন তোমাকে পড়াশোনা শেখায়, তেমনি মানুষও বানায়। প্রত্যেকে তার ধর্মানুযায়ী মানুষ হবে। নিজের জীবনকে সাজিয়ে নাও। তাহলে উভয় জীবনই ভালো হবে।”
তিনি আরও বলেন, “পরিশ্রম এর বিকল্প কিছু নেই। পরিকল্পনা এবং পরিশ্রম তোমাকে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় পৌছাবে। নবীনদের পৃথিবী জয় করতে হবে। জয় করতে হলে প্রথমদিন থেকে চেষ্টা করতে হবে। প্রথম দিন থেকেই মন্ত্র গ্রহন করবে, চ্যালেঞ্জ নিবে। ক্লাসরুম, লাইব্রেরিতে নিজের সময় ব্যয় করতে হবে। তাহলেই তোমরা গন্তব্যে পৌছাতে পারবে।”
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে অতিথিদের এবং এবং নবীনদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে প্রবীণ বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।