ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে “আবৃত্তি আবৃত্তি”র আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও বিদায় সংবর্ধনা

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাংস্কৃতিক সংগঠন “আবৃত্তি আবৃত্তি”র আয়োজনে আবৃত্তি প্রতিযোগিতা ও বিদায় সংবর্ধনা-১৪৩২ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) ১১৬ নং কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আবদুল মাজেদ সাগর ও নওশীন পর্ণিনী সুম্মার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাজহারুল হক লিপু, বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান, সংগঠনটির সভাপতি গোলাম রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান এবং সংগঠনটির অন্যান্য সদস্য ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয়ে বিভিন্ন কবিতা আবৃত্তিতে মুখরিত হয়ে ওঠে অনুষ্ঠানটি। আবৃত্তি প্রতিযোগিতার পর বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ ও বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।
বিদায়ী শিক্ষার্থীরা বলেন, “এই সংগঠনটা একটা পরিবারের মতো, যাদের মাঝে থাকলে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়। এখানে সিনিয়র-জুনিয়রের মধ্যে একটা সেতুবন্ধন আছে। অল্পসংখ্যক সদস্য নিয়ে যেভাবে এত দূর এসেছি, আশা করি আপনারা এ সংগঠনকে আরও উপরে নিয়ে যাবেন। বসন্তের জন্য শীতকে বিদায় নিতেই হয়। নবীন সদস্যরা আসছে, এখন আমাদের বিদায়ের সময়। দেখতে দেখতে সময় পার হয়ে গেল। আমি চাই আজীবন এই দুরন্ত মানুষগুলোর সাথে থাকতে।”
সংগঠনের সভাপতি গোলাম রাব্বানী বলেন, “আমাদের সংগঠন থেকে কখনো কেউ বিদায় নেয় না। যারা চলে গেছেন তাদের সাথে আমাদের যোগাযোগ হয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই সংগঠনের সাথে যুক্ত আছি। আমি ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’ থেকে অনেক কিছু শিখেছি, শিখেছি কীভাবে কথা বলতে হয়। আপনি যদি কিছু নাও পারেন, যদি শেষ পর্যন্ত লেগে থাকতে পারেন এই ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’ থেকে অনেক কিছু নিয়ে যেতে পারবেন।”
এ সময় বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক খান মাজহারুল হক লিপু বলেন, “২২ বছর ধরে ইবির ‘আবৃত্তি আবৃত্তি’র সাথে যুক্ত আছি। এত দিন পরও আমার মনে হয় এখনো যেন সেই আগের তারাই আছে, কারণ আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি দেখি না। এখানে দেখলাম কারো কারো দীপ্তকণ্ঠ আবার কারো কারো সুরলিত কণ্ঠ। আমাদের প্রত্যেকে আবৃত্তি চর্চা করতে হবে এবং শিখতে হবে।”
উল্লেখ্য, আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন বাংলা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মারজিয়া ইসলাম, দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন ফোকলোর স্টাডিজ বিভাগের ২০২০-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জিন্নাত মালিয়াত সীমা এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেন আল-হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খন্দকার আহনাফউজ্জামান। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সকলের জন্য সার্টিফিকেটের ব্যবস্থা করা হয়।