উল্লাপাড়ায় ভুয়া দলিল করে সম্পত্তি দখলের পায়তারা

মেসবাহুল হক মাসুম, উল্লাপাড়া, (সিরাজগঞ্জ):
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার সলপ ইউনিয়নের বোস্তানপাড়া গ্রামে ভুয়া দলিল করে সম্পত্তি দখলের অভিযোগ উঠেছে জহরুল হক ও রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা জজ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামনগর মৌজার বোস্তানপাড়া মাঠের ৫৫ শতক জামির মালিক অছিমুদ্দিন। কিন্তু অছিমুদ্দিনের মৃত্যুর পর সকল সম্পত্তির উত্তরাধিকার হয় তাঁর একমাত্র পুত্র নুরুল হক মোল্লা। নুরুল হক মোল্লা ওয়ারিশকৃত সম্পত্তির ১৪৫ শতক জমি স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ও পালক পুত্র আব্দুল আলীমকে ১৬৫ শতক জমি দান করেন।
নুরুল হক মোল্লা মারা গেলে বাকী সম্পত্তির ওয়ারিশ হয় তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ও চাচাত ভাই দিনু মোল্লার ছেলে মোহাব্বত আলী (ভাতিজা)। আনোয়ারা খাতুন ও মহব্বত আলী মোল্লা একত্রে ১৮২ শতক জমির মধ্যে ৮৯ শতক জমি বোস্তানপাড়া গ্রামের জামে মসজিদ ম্যানেজিং কমিটির সেক্রেটারী বরাবর হস্তান্তর করে বুঝিয়ে দেয়। তবে আনোয়ারা খাতুন স্বামীর ত্যাক্ত সম্পত্তি থেকে নিঃস্বত্ববান হয়। অবশিষ্ট সম্পত্তি মহব্বত আলী মোল্লা একক ভাবে দখলকার অবস্থায় ১ম স্ত্রী আছিয়া খাতুন ও ২য় স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন এবং ভাতিজা আইনুল হক মোল্লা ও আরজান মোল্লাকে ওয়ারিশ বিদ্যমানে মারা যায়। যা বর্তমানে তারা ভোগদখলে আছে।
কিন্তু পঞ্চক্রোশী গ্রামের মৃত জুড়ান প্রামানিকরে দুই ছেলে জহুরুল ইসলাম ও রেজাউল করিম মৃত নুরুল হক মোল্লার মিথ্যা ওয়ারিশ উল্লেখ্য করে অর্থাৎ নুরাল হক মোল্লার কাঞ্চন নামের একজনকে বোন সাজিয়ে জহুরুল ও রেজাউল করিম আব্দুল মান্নান, ফরজ আলী ও মোমেনা খাতুনকে কাঞ্চনের ওয়ারিশ বানিয়ে যোসাজশের মাধ্যমে মোট ৫৫ শতক উল্লাপাড়া সাব রেজিস্টার অফিস থেকে দলিল করে নেয়। কিন্ত আব্দুল মান্নান, ফরজ আলী ও মোমেনা খাতুন এদের কেউই অছিমুদ্দিন মোল্লা বা নুরাল হক মোল্লার ওয়ারিশ নয়।
জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, কাঞ্চন বিবি যদি নুরাল হক মোল্লার বোন না হয়। অথবা আব্দুল মান্নান, ফরজ আলী এবং মোমেনা খাতুন অছিমুদ্দিন মোল্লা বা নুরাল হক মোল্লার ওয়ারিশ না হয়? তাহলে তারা কিভাবে জহুরুল ইসলাম ও রেজাউল করিমরে নিকট জমি বিক্রয় করে?
এ বিষয়ে জহুরুল ও রেজাউল করিমের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, বেস্তানপাড়া গ্রামে ৫৫ শতক জায়গা কাঞ্চন বিবির ওয়ারিশদের নিকট থেকে আমরা দুই ভাই ক্রয় করেছি। সে দাগে কঞ্চন বিবির ৭০ শতক জায়গা রেয়েছে যা সম্পূর্ণই আমাদের ভোগদখলে। ৫৫ শতক জমি কিনে কিভাবে ৭০ শতক জমিতে ভোগদখলে আপনারা এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, জমি ক্রয় করার পর থেকে আমরা এভাবেই চাষাবাদ করে আছি। কাঞ্চনের ওয়ারিশের বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা কোন যৌক্তিক সদুত্তর প্রদান করতে পারেন নি।