কলাপাড়ায় সাপ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালীর কলাপাড়ার পাখিমারা বাজারে অনুষ্ঠিত হলো সাপ ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী।
(২০ জুলাই) রবিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে এ আয়োজন করে স্বেচ্ছাসেবী প্রাণিকল্যাণ ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’। যার সর্বিক সহযোগিতা করেন উপজেলা প্রশাসন কলাপড়া ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইয়াসীন সাদেক।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক সমিতির কলাপাড়া উপজেলা আহ্বায়ক মাহাবুব গাজী, কৃষক প্রতিনিধি সুলতানা গাজী, প্রাণী কল্যাণ সংগঠনের সদস্য মাসুদ হাসান, বায়জিদ মুন্সী, ইউসুফ রনি ও মো. কাওসার।
প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন শেষে অতিথিরা বলেন, “সাপসহ বন্যপ্রাণী আমাদের প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এগুলোকে অকারণে হত্যা না করে রক্ষা করাই আমাদের দায়িত্ব।”
কলাপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ইয়াসীন সাদেক বলেন, “সাপ ও বন্যপ্রাণীর প্রতি মানুষের ভুল ধারণা, কুসংস্কার এবং অজ্ঞতার কারণে প্রকৃতি আজ হুমকির মুখে। অথচ এদের প্রতিটি প্রাণই পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজকের এই প্রামাণ্যচিত্র শুধু জ্ঞান নয়, মানবিক বোধও জাগিয়ে তোলে।
তিনি আরো বলেন,
আমি ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই এমন একটি সময়োপযোগী, শিক্ষামূলক এবং জনসচেতনতামূলক আয়োজনের জন্য। সমাজে যারা এসব প্রাণীর জন্য কাজ করছেন, তারা নিঃসন্দেহে প্রকৃতির রক্ষক। আমাদের প্রত্যেককে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমরা একটি প্রাণবৈচিত্র্যপূর্ণ ও টেকসই পৃথিবী রেখে যেতে পারব।”
স্থানীয় বাসিন্দা জামাল হোসেন নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে বলেন, “আগে সাপ বা অন্য কোনো বন্যপ্রাণী দেখলেই মেরে ফেলতাম। কিন্তু ‘অ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী’ যে এসব প্রাণীর গুরুত্ব বোঝাচ্ছে এবং রক্ষার জন্য কাজ করছে, সেটা জানার পর থেকে আর প্রাণীদের ক্ষতি করি না। বরং এখন কিছু দেখলে তাদের খবর দিই, তারা এসে উদ্ধার করে। আজকের অনুষ্ঠানে অনেক কিছু জানতে পেরেছি—বন্যপ্রাণী আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”
অনুষ্ঠান শেষে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।
সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভবিষ্যতেও এই ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।