জাতীয় সারাদেশ

তথাকথিত নেতার নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিক নয়

ঢাকা ক্যানভাস।।

বর্তমানে কিছু নেতা তৈরি হয়েছে যারা সাংবাদিক এর অর্থটাই বোঝেন না। জুলাই বিপ্লবের পর লুকিয়ে থাকা উড়ে এসে জুড়ে বসে যারা বিনা পরিশ্রমে নেতা হয়ে গেছেন তাদের কাছে সাংবাদিকদের মনে হয় কেনা গোলাম। তারা মনে করছে আওয়ামী লীগের সময় সাংবাদিকদের যেভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হতো সেইভাবে এখনো সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করা হবে। তবে বিষয়টিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিচ্ছি আমরা উড়ে এসে জুড়ে বসিনি, আমরা স্বৈরাচারের দালালি করিনি। হয়তো পরিস্থিতি আর প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যে তথ্য এবং প্রমাণের অভাবে সবকিছু তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। যা বর্তমান নেতাদের তুলে ধরে গণমাধ্যমকে সহায়তা করার কথা উল্টো তা না করে উপঢৌকোন আর স্বজনপ্রীতির বিনিময়ে তাদের কথা চেপে গিয়ে সুবিধাবাদীদের দলে ঠাই দিয়ে অপকর্মের রাজা হওয়ার চেষ্টা করছে।
মনে রাখবেন তথাকথিত নেতাদের নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিকরা না। সাংবাদিকরা সব সময় স্বাধীন। কখন কোথায় যাবেন, কখন কি লিখবেন, কখন কার সাথে কি ধরনের সাক্ষাৎকার নিতে হবে, কখন কোন সোর্সকে কোথায় কাজে লাগাতে হবে, কি ভাবে রাষ্ট্রের উন্নয়নের স্বার্থে তথ্য গোপনে কোথায় পরিবেশন করতে হবে এটা মুলধারার মিডিয়ায় কর্মী অর্থাৎ সাংবাদিকরা খুব ভালো করেই জানেন এবং বোঝেন।
প্রকৃত নেতা হতে চাইলে সাংবাদিকদের সাথে অযথা দ্বন্দ্বে জড়াবেন না। সাংবাদিকরা একবার ক্ষেপে গেলে নেতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা আপনাদের মুখোশ জাতির সামনে উন্মোচন করে আপনাকে নেতার আসন থেকে ছিটকে ফেলে দিতে সময় নেবে না। নেতা হলেই সব জায়গায় নেতৃত্ব ফলাতে যাবেন না, তা না হলে পরে পস্তাবেন।
আপনি যত বর্ষীয়ান আর প্রতাপশালী নেতা হন না কেন সাংবাদিকদের কাছে আপনি ন্যায় সঙ্গত সম্মানটুকু পাবেন। অন্যায় আর গায়ের জোরে যদি নেতার নেতামী ফলাতে চান আপনাদের সম্মানকে উপেক্ষা করে আস্তাকুড়ে ফেলে দিতে সাংবাদিকরা সময় নিবে না।
সাংবাদিকরা রাস্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ তাদের অধিকারের জায়গাটা সব সময় অনুমতির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। হয়তো মফস্বলের সাংবাদিকরা স্থানীয় নেতাদের সাথে ভালো সম্পর্ক রাখার জন্য মাঝে মাঝে তাদের অনেক মূর্খতাকে মেনে নেয় কিন্তু সীমালঙ্ঘন করলে তাকে ছাড় দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। প্রকৃত সাংবাদিকরা নেতাদের হাতের তুরুকের তাস নয়। তারা গান পাওয়ার আর ম্যান পাওয়ার দিয়ে নয় লেখনি শক্তির মাধ্যমে সমাজকে বদলাতে চায়। আপনি বা আপনারা যত বড় মাপের নেতা হন না কেন সাংবাদিকদের আদর্শিক জায়গায় আঘাত করবেন না। তাদের মুক্তভাবে চলতে দিন বাধাহীন ভাবে সংবাদ সংগ্রহের স্বাধীনতা অক্ষুন্ন রাখুন। মনে রাখবেন তথাকথিত নেতার নিয়ন্ত্রণে সাংবাদিক নয়।

 

উজ্জ্বল কুমার দাস

সাধারণ সম্পাদক, কচুয়া প্রেসক্লাব

কচুয়া, বাগেরহাট।

You may also like

সারাদেশ

মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক হলেন সাব্বির আহমেদ সামাদ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি: মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটিতে প্রচার সম্পাদক পদে দায়িত্ব পেয়েছেন জেলার একনিষ্ঠ ও ত্যাগী ছাত্রনেতা সাব্বির আহমেদ সামাদ।
সারাদেশ

বদলে যাচ্ছে র‌্যাব: পরিবর্তন হচ্ছে নাম, লোগো ও পোশাক

নতুন রূপে আসছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ বাহিনীর নাম, লোগো ও পোশাক পরিবর্তনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়,