Uncategorized

ফকিহ ও মুহাদ্দিস পদে অনিয়মের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগে ফরিদগঞ্জ আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনোয়ার মোল্লাকে মাদ্রাসা অধিদপ্তরে তলব

মোঃ সোহেল রানা, ফরিদগঞ্জ(চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার ফকিহ ও মুহাদ্দিস পদে অনিয়মের আশ্রয় দিয়ে নিয়োগ সম্পূর্ন করায় এবং এ বিষয়ে অভিযোগ থাকায় মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ. এম আনোয়ার হোসেন মোল্লাকে অধিদপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
৭ নভেম্বর ২০২৪ রোজ বৃহস্পতিবার মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো.জাকির হোসাইন এর স্বাক্ষরিত একটি পত্র উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বরাবর পাঠানো হয়। পত্রে উল্লেখ করা হয়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ.এম আনোয়ার মোল্লা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ এর পরিশিষ্ট ঘ এর বিধি লঙ্গন করে ফকিহ ও মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন মর্মে একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে এবং উক্ত বিষয়ে একাধিক অভিযোগ অধিদপ্তরে দাখিল করা হয়েছে। এমতাবস্থায় প্রকাশিত সংবাদ এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে বর্ণিত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এইচ. এম আনোয়ার হোসেন মোল্লা, হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং মো. মোশারফ হোসেনকে স্ব-শরীরে নিয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ উপস্থিত হয়ে উপ-পরিচালক (অর্থ), মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের নিকট আগামী ১৩ নভেম্বর খ্রি. তারিখ রোজ বুধবার সকাল ১১ টায় ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।
এ বিষয়ে এইচ. এম আনোয়ার হোসাইন মোল্লা এ প্রতিনিধিকে বলেন,‘পত্রিকার রিপোর্ট এবং অভিযোগের ভিত্তিতে মাদ্রাসা অধিদপ্তর আমাদের চিঠি দিয়েছেন। এর আগে ৩১ অক্টোবর আমাদেরকে মৌখিকভাবে ডেকে নিয়েছেন এবং বলেছেন স্কেল অনুযায়ী হাবিবুর রহমান মোল্লারটা ঠিক আছে কিন্তু মো. মোশারফ হোসেনেরটা ঠিক নেই।’ অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,‘বিষয়টি আমি কমিটিকে বলেছি। তারা হাবিবুর রহমান এবং মো. মোশারফ হোসেনের নিয়োগ বাদ দিতে চান না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বলেন, এমপিও সংক্রান্ত কাগজপত্র আমার কাছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ জমা দিয়েছেন কিন্তু আমি শুনেছি এই নিয়োগ নিয়ে পুনঃরায় তদন্ত রয়েছে। তাই আমি আমার কাজ বন্ধ রেখেছি।
উল্লেখ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসায় ফকিহ এবং মুহাদ্দিস পদে নিয়োগ নিয়ে উপজেলা জুড়ে হইচই সৃষ্টি হয়। অভিযোগ রয়েছে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ বধি বর্হিভূতভাবে সম্পূন্ন অনিয়মের মাধ্যমে দু’টি নিয়োগ দেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা জানতে পেরে এইচ.এম আনোয়ার মোল্লার মুখোমুখি হলে তিনি অনিয়মের কথা স্বীকার করে তা বাতিল করে নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবেন বলে সাংবাদিকদের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তী অতি গোপনে তিনি ঐ দু’জনকেই নিয়োগ দিয়ে দিয়েছেন। নিয়োগকৃতরা ক্লাস নিয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের কাছে তথ্য রয়েছে।

You may also like

Uncategorized সম্পাদকিয়

সম্পাদকের কথা

There are many variations of passages of Lorem Ipsum available but the majority have suffered alteration in that some injected
Uncategorized

Hello world!

Welcome to WordPress. This is your first post. Edit or delete it, then start writing! Print 🖨