বালিয়াডাঙ্গীতে বিএনপির সম্মেলনে মির্জা ফখরুলের ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর
মোঃ মনিরুজ্জামান অনিকঃবালিয়াডাঙ্গী, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির দ্বি -বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ।এতে গণতান্ত্রিক নিয়মেই ভোট দেন ভোটাররা।কিন্তু ফলাফল ঘোষণা নিয়ে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।
এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মীদের হাতে হামলার স্বীকার হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ছোট ভাই ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন।
আজ শনিবার (১২ জুলাই) সন্ধ্যায় বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার সমিরউদ্দীন স্মৃতি মহাবিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের অভিযোগ, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের ভোট শেষে গণনা নিয়ে টালবাহানা ও কারচুপি করে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা। দীর্ঘ সময়েও ফলাফল না দিয়ে চলে যেতে চান তারা। এতেই ক্ষুব্ধ হন উপজেলা বিএনপি নেতাকর্মীরা। পরে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হলে সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ভোটকেন্দ্রের সামনে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা।
উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, দুপুর ২টা থেকে উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়। যা বিকেল ৫ টা পর্যন্ত চলে। ভোট গণনা চলাকালে বাইরে নেতাকর্মীরা পছন্দের প্রার্থীর জন্য বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। সন্ধ্যা ৭টার পরেও ফলাফল দিতে টালবাহানা করায় নেতাকর্মীরা লাঠিসোঁঠা নিয়ে মিছিল করেন। তাদের অভিযোগ- ভেতরে যারা দায়িত্বে ছিলেন তারা মৌখিকভাবে জানান ভোটে উপজেলা বিএনপির সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন টিএম মাহবুবুর রহমান।
তারপরও উদ্দেশ্যমূলকভাবে ঘোষণা না দিয়ে টালবাহানা করছিল। ফলে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির নেতাদের উদ্দেশে ভুয়া ভুয়া স্লোগান দেন।
তারা আরও জানান, ৪৯৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ আলম (ছাতা মার্কা) ২৪৪ ভোট পান। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সভাপতি পদে আবু হায়াত নুরুন্নবী (চেয়ার মার্কা) ২৪২ভোট পান। এতেই জেলা বিএনপির নেতারা ফলাফল আটকে রাখেন।
পরবর্তীতে ফলাফল ঘোষণা দিতে কেন্দ্রে আসেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন। ভোট গণনা অনুযায়ী ফলাফল ঘোষণা দিয়ে ফিরে যাওয়ার সময় ধাওয়া দেন উপজেলার নেতাকর্মীরা। দ্রুত সময়ে তার গাড়ি বহরে উঠতে চাইলে হামলা করা হয়। ভাঙচুর করা হয় প্রাইভেট কার। অন্যান্য নেতাকর্মীরা তাকে রক্ষা করলেও এ সময় কমপক্ষে চারজন আহত হন।আহতদের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত আলী সরকার বলেন, ভোটের ফলাফল ঘোষণা দিয়ে বের হওয়ার সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিনের ওপর হামলার চেষ্টা চালানো হয়। তার গাড়ি ভাঙচুর করা হয়।রাতের অন্ধকারে হামলাকারীদের চিহ্নিত করা সম্ভাব হয়নি।তবে যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি।