মির্জাগঞ্জে কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণের পর হত্যা

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা,পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ- পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির (১৪ বছর) এক কিশোরীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। তবে নিহতের পরিবার দাবি করেছে, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার ২ নং মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের ঘটকের আন্দুয়া গ্রামে এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পরিবারের তথ্যমতে, প্রায় দেড় বছর ধরে ওই কিশোরী তার দাদী রোকেয়া বেগমের সঙ্গে ওই এলাকায় বসবাস করছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় দাদী বাড়ি থেকে কিছুক্ষণ অন্যত্র গেলে কিশোরী বাসায় একা ছিল। দেড় ঘণ্টা পর ফিরে এসে দাদী ঝুলন্ত অবস্থায় তার নাতনির লাশ ফ্যানের সঙ্গে দেখতে পান। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
নিহতের খালা উপমা পারভিন খাদিজা অভিযোগ করেছেন, কিশোরী আত্মহত্যা করেনি, বরং ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিশোরীকে তার ফুফাতো ভাই সাকিল ও সাজিত বিভিন্নভাবে যৌন হয়রানির শিকার করে আসছিল। একবার কিশোরী গোসল করার সময় তাদের গোপনে ভিডিও করার তথ্যও তিনি তুলে ধরেন। বাড়ির পাশের শামীম নামের এক ব্যক্তিও কিশোরীকে অপ্রীতিকর আচরণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
খালা আরও বলেন, কিশোরী মাঝে মাঝে ফোন করে ফুফাতো ভাইদের বিষয় এবং দাদীর ব্যাপারে বিভিন্ন কথা বলতো ও কাঁদতো।
নিহতের মামাতো ভাই আশিকুল ইসলাম সিয়াম জানান, দাদী রাত ২টার দিকে ফোন দিয়ে জানায়, কিশোরী গলায় ফাঁস দিয়েছে, অথচ ঘটনার সময় ছিল রাত ১০টা। তিনি বলেন, এটি আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ড এবং তারা এর বিচার দাবি করছেন। তবে দাদী রোকেয়া বেগমের ফোন বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামীম হাওলাদার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই বলা যাবে এটি আত্মহত্যা না হত্যা।