সাতক্ষীরা সীমান্তে পশু ও পশুর চামড়া পাচাররোধে বিজিবির সতর্কতা

মোঃ খলিলুর রহমান,সাতক্ষীরা ::
পবিত্র ঈদুল আজহায় অবৈধভাবে ভারতীয় গরু যাতে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে এবং ঈদ পরবর্তী সময়ে পশুর চামড়া পাচাররোধে সাতক্ষীরা সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে বিজিবি।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরার ভোমরা আইসিপি সংলগ্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা ব্যাটালিয়ন (৩৩ বিজিবি)র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মো. আশরাফুল হক।
সংবাদ সম্মেলনে লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে পাশ্ববর্তী দেশ হতে অবৈধভাবে গরু বাংলাদেশে প্রবেশ করে দেশীয় খামারীরা যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেজন্য বিজিবি সীমান্তে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। তাছাড়াও, ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদযাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াত ইত্যাদির নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর থাকবে।
সাম্প্রতিককালে সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রসঙ্গে লে. কর্নেল মো. আশরাফুল হক বলেন, পুশইন প্রতিরোধে বিজিবি সীমান্তে কঠোর নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সীমান্তবর্তী জনসাধারণকে সঙ্গে নিয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে পুশইন করায় বিজিবি নিয়মিতভাবে বিএসএফের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মৌখিক ও লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন,ভারত বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ কর্তৃক পুশইন শুরু করলে সাতক্ষীরার সীমান্তে ২/১ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। সাতক্ষীরায় বিজিবি বেআইনি ও সীমান্ত প্রটোকল বিরোধী প্রক্রিয়ায় ভারত হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে লোকজন পুশইন করা অবৈধ ও অগ্রহণযোগ্য বলে বিএসএফকে কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছে। বিএসএফ কর্তৃপক্ষ আটক যেকোনো বাংলাদেশি নাগরিককে তার সমস্ত নাগরিকত্বের প্রমাণপত্রসহ পরিচয় নিশ্চিত সাপেক্ষে বিজিবি এর নিকট হস্তান্তর করার ব্যাপারে একমত পোষণ করে।
বর্তমানে সাতক্ষীরা সীমান্তে কোনো প্রকারের পুশইন হচ্ছে না উল্লেখ করে বিজিবি অধিনায়ক বলেন,প্রতিপক্ষ বিএসএফ থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের নাগরিকত্বের প্রমাণ, পরিচয়পত্রসহ অন্যান্য নথিপত্র প্রাপ্তির পর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেলে তাদেরকে স্বীকৃত পদ্ধতিতে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে গ্রহণ করে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হচ্ছে।