১৫ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ইবিতে আল কুরআন বিভাগের শোক র্যালি

মিজানুর রহমান, ইবি প্রতিনিধি:
শিক্ষার্থীদের ১৫ দফা দাবি সমূহ নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়নের দাবিতে এবং হাফেজ সাজিদ আব্দুল্লাহ’র বিদেহী আত্মার প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শোক র্যালি করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ।
রবিবার (২০ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় বিভাগ থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে সমবেত হয় বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রুটিন উপাচার্য ও বিভাগটির শিক্ষক অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, আল কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, অধ্যাপক ড. এ.বি.এম. ফারুক, অধ্যাপক ড. হাফেজ আবু নোমান মো. এরশাদ উল্লাহ, অধ্যাপক ড. মোহা. লোকমান হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ গোলাম রাব্বানী, অধ্যাপক ড. খান মুহাম্মদ ইলিয়াস, অধ্যাপক ড. মো. আমিনুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেখ এ.বি.এম. জাকির হোসেন এবং অধ্যাপক ড. এ.কে.এম. রাশেদুজ্জামান সহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে অধ্যাপক ড. আ.ব.ম. সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা সাজিদকে হারিয়েছি, তাকে আর ফিরে পাব না। তবে এরকম আর যাতে হারাতে না হয় সেই সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি তাকে স্মরণে রাখতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হল বা ভবন সাজিদের নামে করার আহ্বান জানায়।’
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নাছির উদ্দিন মিঝি বলেন, ‘মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদের অকাল ও রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমাদের বিভাগ মাঠে থাকবে। সাজিদ আব্দুল্লাহ আমার সন্তান, সেই সন্তানের মৃত্যু হয়েছে। অন্য ব্যক্তির চেয়ে আমার বেশি রক্তক্ষরণ হচ্ছে। কেউ ষড়যন্ত্র করতে আসবেন না। আমরা তার পরিবারকে কমিটমেন্ট দিয়েছি, তার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার করতে হবে।’
এসময় উপস্থিত ভারপ্রাপ্ত রুটিন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, ‘হল কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাব। তদন্ত করার সময় কেউ বাঁধা দিলে আমাকে বলবেন, সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিব। আমাদের প্রতি আস্থা রাখেন। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে।’