ফেনীর পরশুরামে বাবাকে গরম তেলে ঝলসে দিয়েছে মেয়ে এমন অভিযোগ করছেন বাবা নুরুন্নবী।

মশি উদ দৌলা রুবেল ফেনী:
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে ভর্তি করে বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।ফেনীর পরশুরামে বাবাকে গরম তেল ছুঁড়ে ঝলসে দিয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরী ফাতেমা আক্তার নিহা।শুক্রবার দুপুরে পরশুরাম পৌরসভার বাসপদুয়ার পশ্চিম পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।এর আগে গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ফেনীর পরশুরাম পৌরসভার পশ্চিম বাঁশপদুয়া এলাকার কলাবাগানে নিজ বাসায় স্কেচ টেপ দিয়ে হাত,পা ও কালো কাপড় দিয়ে চোখ-মুখ বেঁধে শিশু লামিয়াকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়।এই সময় তার বড় বোন ফাতেমা আক্তার নিহা(১৩)কৌশলে পালিয়ে পাশের কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে প্রাণে রক্ষা পায়।ওই সময় প্রাণে বেঁচে যাওয়া ফাতেমা আক্তার নিহার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন তার বাবা নুরুন্নবী।নুরুন্নবী পেশায় একজন গাড়ি চালক সে দুই বিয়ে করে,উভয় সংসারে তার সন্তান রয়েছে।প্রথম স্ত্রীর নাম আয়েশা আক্তার তার সাথে নুরুন্নবীর বিচ্ছেদ হলে বরিশালের মেয়ে রেহানা আক্তারকে নুরুন্নবী বিয়ে করে।আয়েশা আক্তার এর ২ কন্যা নিহা ও লামিয়াকে নিয়ে নুরুন্নবী দ্বিতীয় স্ত্রীর রেহানার সাথে সংসার করে যাচ্ছিলেন।রেহানা আক্তারের আগের সংসারের এক ছেলে সন্তান রয়েছে।গত বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরের রহস্যজনক ভাবে নুরুন্নবীর ছোট মেয়ে লামিয়া কে হত্যা করা হয়।এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও সে হত্যার সাথে জড়িত কাউকে সনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ এবং এঘটনায় কাউকে গ্রেফতারও করতে পারেনি।
ওই ঘটনায় পুলিশ লামিয়ার মা আয়েশাকে ঘটনার পরিকল্পনার সাথে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন নুরুন্নবী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রীর রেহানা আক্তার।