কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা, জরিমানা ও ভাঙচুর বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন ইটভাটা মালিক ও শ্রমিকরা। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট স্মারক লিপি দেওয়া হয়।
কুমারখালী ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি মো. লুৎফর রহমান, জিএলবি ভাটার মালিক বনি আমিন, শ্রমিক পলাশ হোসেন প্রমূখ। তারা বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের আমলে দেশীয় শিল্প ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে লিপ্তে থাকা ২০১৩ ও ২০১৯ সালের কালো আইন করে এই শিল্পকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র চলছিল। এমতাবস্থায় ইটভাটা বন্ধ হলে ইটভাটা মালিকরা ব্যাংকের ঋণসহ অর্থনৈতিকভাবে দেউলিয়া হয়ে যাবে। পাশাপাশি ইটভাটা শ্রমিকরা পবিত্র রমজান মাসে অভাব অনটনে পরিবার-পরিজন নিয়ে অসহায়ভাবে জীবন যাপন করবে।
২০১৩ সালে কালো আইন অনুযায়ী ইটভাটা বন্ধ করা হলে দেশে সরকারি ও বেসরকারি সকল উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যাবে। একই সাথে দেশের অর্থনীতির উপর বিরূপ প্রভাব পড়বে। এছাড়াও দেশে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অপরাধ বেড়ে যাবে বলে উল্লেখ করেন তারা।
অপরদিকে সুশীল সমাজের অনেকে অবৈধ ইট ভাটা মালিকদের নিজের অপরাধ ঢাকতে বিক্ষোভ করায় তিব্র সমালোচনা করেন। অবৈধ ইট ভাটার কারণে প্রতিবছর প্রচুর গাছ কেটে ফেলায় জলবায়ুর উপর ব্যাপক প্রভাব পরছে বলে মন্তব্য করেন। কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানোর পাশাপাশি সঠিক নিয়মে ভাটা পরিচালনা করার কথা বলেন তারা।